প্রতিনিয়ত প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। আক্রান্তের সারিও দীর্ঘ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। গত একদিনে করোনা শনাক্তের সংখ্যা নতুন রেকর্ড করেছে। একদিনে সাড়ে তিন লাখেরও বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর ফলে মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৬৭ লাখ ছাড়িয়েছে। একই সময়ে নতুন করে মৃত্যু হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার। এছাড়া নতুন করে দুই লাখ ১৬ হাজার ৩৩৫ জন সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ৭৬ লাখ ৬৩ হাজার ৫৫৫ জন
করোনা নিয়ে আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৩৪৯ জন। নতুন করে ৬ হাজার ৪০১ জন মারা যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৯ জনে। সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দুই কোটি ৭৬ লাখ ৬৩ হাজার ৫৫৫ জন।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রের পরেই সংক্রমণে এগিয়ে রয়েছে ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়া, কলম্বিয়া, পেরু, মেক্সিকো, স্পেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, আর্জেন্টিনা।
তালিকায় শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের দু’টি অঙ্গরাজ্য ছাড়া সবকটি অঙ্গ রাজ্যেই বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। গত মে মাসের পর নিউজার্সিতে বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ ১৩শ’ একজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। ফ্লোরিডায় নতুন করে ৩ হাজারের বেশি আক্রান্ত হয়েছে।
নতুন করে সংক্রমণ বাড়ায় নিউইয়র্কের ১৬৯টি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত ৭৮ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি। মোট মৃতের সংখ্যা দুই লাখ ১৭ হাজার ৭৩৮ জন।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯ লাখ ৩ হাজার ৮১২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৬ হাজার ৫২১ জনের।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনায় ৫০ লাখ ২৯ হাজার ৫৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৪৯ হাজার ৩৪ জনের।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২ লাখ ৬০ হাজার ১১২ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২২ হাজার ৫৬ জন।
পঞ্চম স্থানে থাকা কলোম্বিয়ায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৮৬ হাজার ১৭৯ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৩৩১ জনের।
প্রাণঘাতী ভাইরাসটির সংক্রমণ বাড়ছে বাংলাদেশেও। ১৬ নম্বর অবস্থানে থাকা বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৫৯২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৪৬০ জনের। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন দুই লাখ ৮০ হাজার ৮১৬ জন।