আমি ফাঁসির বিরুদ্ধে: ডা. জাফরুল্লাহ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

জাফরুল্লাহ
ফাইল ছবি

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আজকে নারায়ণগঞ্জের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরে জণসংখ্যা ৩০ লাখ। কিন্তু, আপনাদের হাতে কোনো ক্ষমতা নেই। কোনো কিছু হলেই সরকার দ্রুত একটা আশার বাণী শুনিয়ে দেয়। আমরা ধর্ষকদের বিরুদ্ধে যে ফাঁসি চাই, আমি এই ফাঁসির বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশে কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড এবং নাগরিকের নিরাপত্তা নিয়ে শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জ এক গণসংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। শহরের শেখ রাসেল পার্কের মঞ্চে এ সংলাপের আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ জেলা গণসংহতি আন্দোলন।

universel cardiac hospital

গণসংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণস্বাস্থ্যের এই প্রতিষ্ঠাতা বলেন, এই যে মসজিদের (তল্লা মসজিদে অগ্নিকাণ্ডে) ৩৫ লোক মারা গেছে। এই ৩৫ জনের মধ্যে অর্ধেক মানুষও মারা যেত না, যদি ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটা মরফিন ইনজেকশন দিয়ে দেয়া হতো। বাসায় দগ্ধদের চিকিৎসা হলো ঠান্ডা পানি দিয়ে। আর হাসপাতালের চিকিৎসা মরফিন ইনজেকশন দিয়ে। ভিক্টেরিয়ায় মরফিনের লাইসেন্স নেই। যদি সেখানে সেই ইনজেকশন দিয়ে দেয়া হতো, তাহলে মানুষ মারা গেলেও কম কষ্ট পেয়ে মারা যেত। আজ সরকার ৫ লাখ টাকা দিয়ে বাহবা দিচ্ছে। একটা জীবনের দাম কি ৫ লাখ টাকা? একটা জীবনের দাম ৫ লাখ নয় ৩০ লাখ হতে হবে এবং পরিবারকে সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও তেলা-গ্যাস-খনিজ সম্পদ জাতীয় কমিটির সদস্য আনু মোহাম্মদ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, সমগীত সংস্কৃতি প্রাঙ্গনের সভাপতি অমল আকাশ, নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী সংহতির সম্পাদক পপি রানী সরকার প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক তরিকুল সুজন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে