আর্মেনিয়াকে অধিকৃত অঞ্চল ছাড়তে বলল তুরস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আজারবাইজান- আর্মেনিয়া
ফাইল ছবি

আজারবাইজানের অধিকৃত অঞ্চল আর্মেনিয়াকে অবশ্যই সমর্পণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছে তুরস্ক। শনিবার আঙ্কারার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক টুইট বার্তায় এ কথা বলে।

মন্ত্রণালয়ের টুইটে বলা হয়, আজারবাইজানের সেনাবাহিনী বিরত্বপূর্ণভাবে অধিকৃত অঞ্চলগুলো মুক্ত করে বিজয় অর্জন করেছে। আর্মেনিয়াকে অবশ্যই অধিকৃত অঞ্চল তাদের অধিকারপূর্ণ মালিকের কাছে সমর্পণ করতে হবে।

universel cardiac hospital

আঙ্কারা বাকুকে সমর্থন করছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুনর্ব্যক্ত করে। ‘আমরা আজারবাইজানি তার্কিশ ভাই-বোনদের পাশে শেষ পর্যন্ত পাশে থাকব।

২৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিরোধীয় অঞ্চল নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান নতুন করে যুদ্ধে জড়ায়। পরর্বতীতে শুক্রবার রাশিয়ার মধ্যাস্থতায় মস্কোতে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে ১০ ঘণ্টা শান্তি আলোচনা হয়। এতে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় বলে জানিয়েছে রাশিয়া।

শনিবার স্থানীয় সময় ১২ টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

আজারবাইজানের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে আজারবাইজানে গোলা হামলা অব্যাহত রেখেছে আর্মেনিয়া। বাকুর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বলা হয়. টার্টার ও আগদামের বেসামরিক অঞ্চলে রকেট ও আর্টিলারি হামলা অব্যাহত রেখেছে আর্মেনিয়া। পরে তাদের পাল্টা জবাব দেয় আজারবাইজানের সেনাবাহিনী।

এদিকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে তুরস্ক বলছে, যুদ্ধবিরতি প্রথম ধাপ, তবে স্থায়ী সমাধান নয়। এক বিবৃতিতে তুরস্ক বলেছে, আলোচনার টেবিলে আঙ্গারা আজারবাইজানকে সমর্থন করে। তুরস্ক বাকুর নিজস্ব অধিকারকে সমর্থন করে এবং আর্মেনিয়ার দখলদার বাহিনীকে অধিকৃত এলাকা থেকে প্রত্যাহারের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করে।

কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। তবে ওই অঞ্চলটি জাতিগত আর্মেনীয়রা প্রায় তিন দশক ধরে দখলে রেখেছে।

১৯৯০’র দশকে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। সেখানে প্রায় ২০ শতাংশ আজারবাইজানীয় নাগরিক বসবাস করছে। ১৯৯২ সালে মিনেস্ক গ্রুপ যুদ্ধবিরতির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে