দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বিবেচনায় এবং পাটশিল্পের বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারণে সরকার ২৮২ প্রকার পাটপণ্যকে বহুমুখী পাটজাত পণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। সম্প্রতি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় বহুমুখী পাটজাত পণ্যের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।
রোববার (১১ অক্টোবর) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
‘পাট আইন, ২০১৭’ অনুযায়ী, ‘বহুমুখী পাটজাত পণ্য’ অর্থ প্রচলিত পাটজাত পণ্য যথা-হেসিয়ান, সেকিং, সিবিসি এবং ৬ কাউন্ট ও তদূর্ধ্ব পাট সূতা ব্যতীত এইরূপ কোনো পণ্য যে পণ্য প্রস্তুতে পাট বা পাটজাত দ্রব্য ব্যবহারের আধিক্য ন্যূনতম পঞ্চাশ ভাগ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পাটখাত উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বর্তমান সরকারের এসব কর্মপরিকল্পনা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্যে পাটখাত চামড়াকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
‘জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) মাধ্যমে পাটপণ্যের বহুমুখীকরণ ও ব্যবহারের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বহুমুখী পাটজাত পণ্যের প্রায় ৭০০ উদ্যোক্তা বিভিন্ন ধরনের দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন, যার বেশিরভাগই বিদেশে রফতানি করা হচ্ছে।’
বহুমুখী পাটজাত পণ্যকে দেশে জনপ্রিয় করতে প্রচার প্রচারণাসহ দেশে-বিদেশে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা হচ্ছে বলেও বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।