ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রীর করা ধর্ষণ মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই নেতাকে রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। তারা হলেন- সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা।
এর আগে সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে তাদেরকে হাজির করে পুলিশ। কোতোয়ালি থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদেরকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রোববার রাতে রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি।
ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রাজীব আল মাসুদ জানান, ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ঢাবির এক ছাত্রীর দায়ের করা মামলার চার নম্বর আসামি মো. সাইফুল ইসলাম ও পাঁচ নম্বর আসামি মো. নাজমুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে পুলিশ তাদেরকে আদালতে পাঠায়।
২০ সেপ্টেম্বর রাতে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে রাজধানীর লালবাগ থানায় মামলা করেন ঢাবির এক ছাত্রী। এতে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। পরে ওই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় আরও একটি মামলা করেন ওই ছাত্রী।
এদিকে রোববার দুপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদ তাদের চার নেতাকে পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছে বলে গণমাধ্যমে অভিযোগ করে।
রোববার রাতে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর এক ভিডিও বার্তায় অভিযোগ করেন, মগবাজার থেকে নাজমুলকে, চাংখারপুল থেকে সাইফুলকে এবং প্রেসক্লাব থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব হোসেনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছাত্রলীগের যে কর্মী আমাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিল সেই মামলার আসামি নাজমুল ও সাইফুল। কিন্তু সোহরাব হোসেনের সঙ্গে এই মামলার কোনো সম্পর্ক নেই। তাকে কেন তুলে নিয়ে যাওয়া হলো?