এসিআই কোম্পানির হ্যান্ড স্যানিটাইজারে বিষাক্ত মিথানলের উপস্থিতি থাকায় প্রতিষ্ঠানটিকে এক কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মিথানলমিশ্রিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাজার থেকে প্রত্যাহারের আদেশ দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণে আদালত।
রোববার রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
এর আগে গত ৪ অক্টোবর দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গাজীপুরে প্রতিষ্ঠানটির কারখানায় অভিযান চালানো হয়। পরে কারখানাটি সিলগালা করে রাখে র্যাব। পরীক্ষা করে বিষাক্ত মিথানল পাওয়া যাওয়ায় রবিবার রাতে করা হয় জরিমানা।
র্যাব জানায়, এসিআই কোম্পানির ‘স্যাভলন হ্যান্ড সেনিটাইজার’ বিভিন্ন পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে তাতে বিষাক্ত মিথানলের উপস্থিতি পাওয়া যায়। যা হ্যান্ড স্যানিটাইজারে থাকার কথা না।
এদিকে স্যাভলনের স্যানিটাইজারের গায়ে ‘আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল’ দিয়ে তৈরি লেখা থাকলেও তাতে আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহলের কোনো উপাদান পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে জীবাণুনাশক হিসেবে মানুষ যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে তাতে জীবাণুমুক্ত হওয়া দূরের কথা, এতে মানুষের শরীরে নানাবিধ ক্ষতি হয়। আর দেশে মিথানল ব্যবহারও সরকারিভাবে নিষিদ্ধ। কিন্তু এসিআইয়ের কারখানায় বিষাক্ত মিথানল দিয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি হচ্ছিল। এমন খবরেই র্যাব সেখানে অভিযান চালিয়েছিল।
সারওয়ার আলম বলেন, ‘মিথানল দিয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানানোর কারণে এসিআইকে এক কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাছাড়া ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মিথানল দিয়ে বানানো তিনটি ব্যাচের হ্যান্ড সেনিটাইজার মার্কেট থেকে প্রত্যাহার করতে আদেশ দেওয়া হয়।’
এর আগে অভিযানের দিন সারওয়ার আলম জানান, মিথানল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। প্রতিষ্ঠানটি আউটসোর্সিং করে বাইরে থেকে এই প্রোডাক্ট এনেছিল। পরে নিজেদের প্যাকেটে ভরেছে। গাজীপুরে তাদের কারখানার ঠিকানা দেয়া থাকলেও সেখানে কোনো পণ্য নেই। এছাড়া অনেক পণ্যের বস্তার গায়ে মেয়াদ ছয় মাস লেখা থাকলেও প্যাকেটের গায়ে তা দুই বছর লেখা ছিল।