ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের যে খসড়া মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে, তা মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছে। বঙ্গভবন সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
এর আগে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইনটির একটি সংশোধনী প্রস্তাব সোমবার অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এটি কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনী প্রস্তাবটি অনুমোদন করা হয়। এর ফলে বিদ্যমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় সংশোধনী আনা হবে।
আইনমন্ত্রী জানান, বিদ্যমান আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন আছে। সেটিকে এখন মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন করা হয়েছে।
সম্প্রতি নোয়াখালীতে এক নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে রাজধানীসহ দেশজুড়ে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের ঝড় ওঠে। মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা। এই জনদাবির পরিপ্রেক্ষিতেই সরকার আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার একটি অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তৃতায় ধর্ষণকে পাশবিকতার সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি জানান, এই পাশবিকতা রোধ করতেই ধর্ষণের শাস্তি বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করা হয়েছে। তার প্রত্যাশা, এর মধ্য দিয়ে দেশে ধর্ষণের মাত্রা অনেকাংশে কমে আসবে।