চালের ঘাটতি হলে প্রয়োজনে আমদানি : কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। ফাইল ছবি

দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যার কারণে এবার আমনের উৎপাদন নিয়ে সরকার অনিশ্চয়তায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

মন্ত্রী বলেন, বন্যার কারণে আমনের উৎপাদন কম হবে। তাই বোরো ধান আসার আগ পর্যন্ত চালের ঘাটতি হতে পারে। এজন্য প্রয়োজন হলে চাল আমদানি করা হবে। তবে আমরা আরও ১৫/২০ দিন দেখবো তারপর সিদ্ধান্ত নেব।

‘বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২০’ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি হলেও হাহাকার হবে না। যদি আমনের বেশি ঘাটতি হয়ে যায়, তাহলে চাল আমদানি করতে হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী এজন্য সীমিত পরিসরে চাল আমদানির নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। সেখানে হয়তো ৫ থেকে ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল আনা লাগতে পারে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে বাজারে প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। বেশিরভাগ সবজির কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। আলুর কেজি ৫০ টাকা। পেঁয়াজের বাড়তি দামতো আগে থেকেই ছিলো। দ্রব্যমূল্যের এই লাগামহীন দামে ক্রেতা সাধারণের মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ। যে কারণে প্রথমবারের মতো আলুর দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার। ভোক্তা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) চিঠি দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। কিন্তু বাজারে এখন পর্যন্ত এটি কার্যকর হতে দেখা যায়নি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে