প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলাঃ বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে প্রায়োগিক গবেষণার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম

মত ও পথ

ড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম
ড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম। ফাইল ছবি

মানব সভ্যতার শুরু থেকেই প্রকৃতির নানাবিধ প্রতিকূলতার সাথে যুদ্ধ করে মানুষকে টিকে থাকতে হয়েছে। ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ’ তাদেরই একটি অন্যতম। একবিংশ শতাব্দীতে এসেও, এর সবকটিকে যে মানুষ জয় করতে পেরেছে তা নয়। বরং প্রকৃতির উপর অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ তথা আযাচিত হস্তক্ষেপের ফলে কখনও, কখনও এর মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বৈ কি! জলবায়ু পরিবর্তন তেমনি একটি মানুষ্য সৃষ্ট  কারণ, যার ফলে এ সংশ্লিষ্ঠ দুর্যোগ যথা বন্যা, খরা, সাইক্লোন, লবনাক্ততা, ভূমিধ্বস ইত্যাদির পরিমান বাড়ছে।  গত ২০১৯ সালেও বিশ্বব্যাপী দুর্যোগের কারণে ক্ষতির পরিমান ছিল প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ডলার। অনেক ক্ষেত্রে দুর্যোগে মৃত্যুর পরিমান কমলেও, আর্থিক ক্ষয় – ক্ষতি বেড়েছে বহুগুণ।

আন্তর্জাতিক জলবায়ু সংস্থা ‘আইপিসিসি’ এর এ সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিবেদন SREX এ ব্যাপারে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি নিরুপনের একটি সূত্র দেয়া হয়েছে সেখানে, যা এখন পর্যন্ত সর্বজন গৃহীত। আর তা হচ্ছে HEVR। অর্থাৎ

universel cardiac hospital

দুর্যোগের ঝুঁকি (Risk) = দুর্যোগের মাত্রা (Hazard) x দুর্যোগের সান্নিধ্যতা (Exposure) x দুর্যোগ
মোকবেলায় অক্ষমতা/দুর্বলতা (Vulnerability

আইপিসিসি উপস্থাপিত চিত্রটিও এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, যা নিম্নে চিত্র ১ ক) তে উপস্থাপিত হল।

চিত্র ১ – ক) আইপিসিসি কর্তৃক দুর্যোগের ঝুঁকি নিরুপনের সংজ্ঞা খ) সুশাসন ও ব্যাবস্থাপনায় অক্ষমতার কারণে দুর্যোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি গ) কিংবা সক্ষমতার কারণে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস

অর্থাৎ একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি নিরূপণে, এর তীব্রতার মাত্রার পাশাপাশি আরও দুটি উপাদান অবশ্য লক্ষ্যণীয় – দুর্যোগের সান্নিধ্যতা ও দুর্যোগ মোকবেলায় অক্ষমতা বা দুর্বলতা। যেমন, সাইক্লোনের কথাই ধরা যাক – একটি নির্জন দ্বীপে এটি যতটা না ক্ষতিকর তার চাইতে অনেক বেশি ক্ষতিকর একটি জনাকীর্ণ বসতি অঞ্চলে। আবার একই মাত্রার এই সামুদ্রিক ঝড়, জাপানে ‘টাইফুন’ নামে যতটা না ক্ষতি করতে সক্ষম, তার চাইতে অনেক বেশি জান-মালের ক্ষতি করতে পারে মায়ানমার অঞ্চলে ‘সাইক্লোন’ হিসাবে। কারণ, দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রাতিষ্ঠানিক ও অবকাঠামোগত  সক্ষমতা বিবেচনায় মায়ানমার জাপান থেকে অনেক পিছিয়ে।   

‘দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে সুশাসন, নিশ্চিত করবে টেকসই উন্নয়ন’ – ২০২০ সালের ‘দুর্যোগ প্রশমন দিবস’ এর মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। এ প্রসংগে, ‘আইপিসিসি’ এর সংজ্ঞা থেকেই বোঝা যায় যে, দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রাতিষ্ঠানিক ও অবকাঠামোগত সক্ষমতা বৃদ্ধি একটি অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ণ নিয়ামক এবং ‘সুশাসন’ এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। ‘সুশাসন’ বলতে এখানে শাব্দিক অর্থে দুর্নীতি মুক্ত ও কার্যকর একটি শাসন ব্যবস্থাকে বুঝিয়ে থাকে হয় তো বা।  তবে, দুর্যোগের ক্ষেত্রে এই বিশেষায়িত ‘শাসন’ ব্যবস্থাটি শুধু শাসক আর আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থাকেই বুঝায় না, বরং এর সাথে সম্পৃক্ত সঠিক নীতি ও পরিকল্পনা, সঠিক উপাত্ত সংগ্রহ, পূর্ভাবাস, দুর্যোগ ও ঝুঁকি মানচিত্র, এবং সর্বোপরি কার্যকর গবেষণা।   

অর্থাৎ, ‘সুশাসন’ নিশ্চিত করতে গেলে, প্রশাসকের পাশাপাশি গবেষকেরও গুরুত্ত্বপূর্ণ ভুমিকা আছে এখানে।  যেমন, দুর্যোগ ও ঝুঁকি মানচিত্র সঠিক ভাবে তৈরী করা গেলে মানুষকে দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চলগুলি থেকে দূরে রাখা যেত, অর্থাৎ ‘E’ এর প্রভাব কমানো যেত। একইভাবে পর্যাপ্ত আবকাঠামো, সুশাসন ও ব্যাবস্থাপনায় সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবেলায় অক্ষমতাজনিত ক্ষতির পরিমান, অর্থাৎ ‘V’ এর প্রভাব হ্রাস করে নিয়ে আসা সম্ভব।  আর কার্যকর গবেষণার মাধ্যমে একটি দুর্যোগের সঠিক কারণ উদ্ঘাটন, সঠিক উপাত্ত সংগ্রহ, পূর্ভাবাস ইত্যাদির মাধ্যমে দুর্যোগের মাত্রা বা ‘H’ এর প্রভাব অনেক কমানো সম্ভব। আর, এই সবকিছুর মিলিত ফল হল দুর্যোগ ঝুঁকি বা ‘R’ হ্রাস পাওয়া, যা চিত্র ‘গ’ তে ব্যখ্যা করা হয়েছে। আর তার উল্টোটা হলে দুর্যোগ ঝুঁকি বা ‘R’ বৃদ্ধি পেতে বাধ্য, যা চিত্র ‘খ’ তে দৃশ্যমান।   

বিংশ শতাব্দীর শেষদিকে এসে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অভূতপূর্ব উন্নয়ন সর্বজনস্বীকৃত। কিন্তু এরই সাথে আরেকটি বিষয় ব্যাপক আলোচনায় এসেছে আর তা হচ্ছে, পরিবেশ দূষণ আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ। প্রকৃতিকে জানা বা বোঝার ব্যাপারে সেই সময়টিতে মানুষের মনোযোগ যথার্থ ছিল না, যাতে করে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেক আপাত উন্নয়নের প্রভাব, আসলে হিতে বিপরীত হতে দেখা গেছে। ফলে, একবিংশ  শতাব্দীতে এসে সবাই আশা করছে যে, প্রকৃতি বিষয়টি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যাপক গুরুত্ত্ব লাভ করবে। উদাহরণস্বরূপ, পুরো বিংশ শতক জুড়ে মানুষ যেখানে গাড়ির গতি বৃদ্ধি নিয়ে গবেষণা করেছে, একবিংশ শতাব্দীতে এসে সেই গবেষণার লক্ষ্য পরিবর্তিত হয়ে তা পরিবেশ বান্ধব গাড়ি, যথাঃ কম জ্বালানী ব্যবহার বা সৌর চালিত গাড়ি নির্মাণের দিকেই বরং বেশি মনোযোগী হবে।     

একইভাবে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্ভাবাস, কারণ উদ্ঘাটন ও নিয়ন্ত্রন – এই বিষয়গুলিও আগামী দিনের গবেষণায় ব্যাপক প্রাধান্য পাবে। কেননা গত শতাব্দীতে, এ বিষয়ে সফলতা ঠিক ততটা আশানুরূপ ছিল না। এর কারণও অবশ্য ছিল। নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে একটি যন্ত্র আবিষ্কার যতটা সহজ ছিল, উন্মুক্ত প্রকৃতিতে হাজারো নিয়ামকের মিথস্ক্রিয়ার ফল স্বরূপ, সাইক্লোন বা ভূমিকম্পের কারণ উদঘাটন বা নিয়ন্ত্রন ঠিক ততটা সহজ ছিল না। তবে এক্ষেত্রে কিছু যে উন্নতি হয়নি তা তো অবশ্যই না। যেমন আজ থেকে শত বছর আগে, ঠিক করে বলা সম্ভব ছিল না যে, আগামিকাল বৃষ্টি হবে কি না! আজকাল প্রায় ১৫ দিনের পূর্ভাবাস বেশ ভালভাবেই দেয়া সম্ভব। আজকাল সাইক্লোনের কারণ উদঘাঠন বা গতবিধির উপর লক্ষ রাখা সম্ভব তার  উৎপত্তির সময় থেকেই। একইভাবে আমরা জেনে গেছি ভূমিকম্প কোন দৈব বা অলৌকিক ঘঠনা নয়, দুটি টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষের ফলই এর কারণ।    

অর্থাৎ প্রকৃতির যে ঘঠনাগুলিকে আমরা প্রথাগত ভাবে দৈব, নিয়ম বহির্ভূত বা অনিয়ন্ত্রিত ‘দুর্যোগ’ হিসাবে আখ্যায়িত করছি, এর সবগুলির পিছনেই আসলে বৈজ্ঞানিক সূত্র বা নিয়ম কাজ করছে।  তবে মানুষের জ্ঞান এখনও অপর্যাপ্ত, যাতে করে এর উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারছে না। আর গবেষণার প্রয়োজনটা এখানেই ! বৈজ্ঞানিক বিষয়াবলীর সংজ্ঞায় ‘এস্টাবলিসড সায়েন্স’ বা ‘প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান’ এর পরপরই আছে ‘ফ্রন্টায়ার সায়েন্স’ বা ‘সম্ভাবনাময় বিজ্ঞান’। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিষয়টি এই ‘ফ্রন্টায়ার সায়েন্স’ বা ‘সম্ভাবনাময়য় বিজ্ঞান’ এর অন্তর্ভূক্ত। অর্থাৎ এটি এমন একটি বিষয় যার অনেক কিছু এখনও অজানা, তবে গবেষণার প্রচুর সুযোগ আছে। ফলে এই শতকে, দুর্যোগ বিষয়ে জ্ঞানের এই বিকাশ সামগ্রিকভাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে অনেকটা সহজ তথা দুর্যোগের ক্ষতিকে অনেকাংশে কমিয়ে নিয়ে আসতে পারে।     

সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত Asia-Pacific Disaster Report 2019 এর তথ্য অনুযায়ী, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এ অঞ্চলের দেশগুলি গড়ে প্রতিবছর প্রায় ২.৪% জিডিপি হারাচ্ছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটি আরও হতাশাজনক। পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্যোগাক্রান্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ একটি। ‘গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইন্ডেক্স ২০২০’ অনুযায়ী দুর্যোগ ঝুঁকি বিবেচনায় বাংলাদেশ পৃথিবীতে ৩য় আর জলবায়ু ঝুঁকি বিবেচনায় ৭ম অবাস্থনে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেশটির অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। যেমনঃ ১৯৯৮ ও ২০০৪ সালের দুটি বন্যার ক্ষতির পরিমান, তখনকার জিডিপি বিবেচনায় যথাক্রমে ৪.৭ ও ৩.৪% ছিল।  

তবে সময়ের সাথে সাথে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মান যথেষ্ঠ উন্নতও হয়েছে বৈ কি ! সাইক্লোনের কথাই ধরা যাক। সারণি ১ এ বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানা কয়েকটি বড় সাইক্লোনের বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হল। ১৯৯১ এ  উড়িরচরের সাইক্লোনে যেখানে মারা গিয়েছিল প্রায় দেড় লাখ লোক, সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় একই মাত্রার সাইক্লোনে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কমে গেছে। উপকূল অঞ্চলে সাইক্লোন শেলটার নির্মাণ, পুর্ভাবাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থা উন্নতীকরণ, রিলিফ ও পুনর্বাসন কর্মসুচীর ব্যপক উন্নয়নের কারণে এই উন্নতি সম্ভব হয়েছিল। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক গুরুত্ত্বপূর্ণ আলোচনায়, এমনকি বাংলাদেশকে দুর্যোগ মোকাবেলায় ‘রোল মডেল’ তথা অনন্য উদাহরণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে আজকাল।    

সারণি ১ : বাংলাদেশ উপকূলে সংঘটিত কিছু বড় সাইক্লোন

বছরনামআঘাতের মূল স্থানবাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ (কিমি/ঘ)জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতামৃত্যু
১৯৭০ভোলাচট্টগ্রাম২২৪১০-৩৩৩০০০০০
১৯৯১গোর্কিচট্টগ্রাম২২৫১২-২২১৩৮৮৮২
২০০৭সিডরখুলনা-বরিশাল২২৩১৫-২০৩৩৬৩
২০০৯আইলাপশ্চিম-বাংলা-খুলনা৯০৪-৬১৯০
২০২০আমফানপশ্চিম-বাংলা-খুলনা১৬০১০-১৫২২

(উৎস: আবহাওয়া অধিদপ্তর ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন তথ্য সূত্র)

কিন্তু তার পরেও, একটি জায়গায় দুর্বলতা অবশ্যই মানতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশে এখনও বড় কোন গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর’ নামে সরকারের যে প্রতিষ্ঠানটি এ সংক্রান্ত দায়িত্ত্বে নিয়োজিত তাঁরা রিলিফ, পুনর্বাসন আর দুর্যোগ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রশাসনিক কার্যাবলি নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকে। গবেষণার তেমন কোন সুযোগ সেখানে নাই। ফলে এটা এখন সময়ের দাবি যে, সরকারের নিজ উদ্যোগে অথবা আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার সহায়তায় হলেও দেশে একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিষয়ক গবেষনা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা প্রয়োজন। ‘গ্রীন ক্লাইমেট ফান্ড’ সহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন উৎস থেকে সরকার এই সাহায্য নেবার চেষ্টা করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকেও এর সাথে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।      

মূলতঃ বাংলাদেশের ভুপ্রকৃতিগত অবস্থান বিবেচনায়, এর প্রকৃতি ও পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে, আমাদের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সমাধান চেষ্টা আমাদেরই করতে হবে। কেননা, অতীতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিরাময়ে বিদেশি দাতা  নির্ভর এমন অনেক প্রকল্প বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে বাস্তবসম্মত নয় বলে প্রমানিত হয়েছে। ‘ফ্লাড একশন প্ল্যান’ তেমনি একটি প্রশ্নবিদ্ধ পরিকল্পনা ছিল। অধুনা শত বছরব্যাপী পরিকল্পিত ‘ডেল্টা প্ল্যান’ টি নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাবে, যদি না এটি বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সাথে সত্যিকার অর্থে মিশে যেতে পারে।

প্রকৃত অর্থেই, নিজ দেশের প্রেক্ষাপটে, প্রায়োগিক গবেষণার মান না বাড়াতে পারলে, সমস্যাটির টেকসই সমধান কোনভাবেই সম্ভব নয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিরাময়ে সুশাসন নিশ্চিতকরণে তাই এই গবেষণা বিষয়টিকে অবশ্যই গুরুত্ত্বের সাথে বিবেচনায় নিতে হবে। আর  তাহলেই দুর্যোগ নিরাময়ে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সফলতার ধারাকে ধরে রেখে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

লেখক, ড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম; পানি, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ; অধ্যাপক, সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও পরিচালক, সেন্টার ফর ইনফ্রাস্ট্রাকচার রিসার্চ এন্ড সার্ভিসেস, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে