১ ডিসেম্বরকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস ঘোষণার প্রস্তাব দিল স্থায়ী কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুক্তিযোদ্ধা দিবস

১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালনের প্রস্তাব দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এক সময় যখন মুক্তিযোদ্ধারা থাকবেন না তখনও যাতে তাদের স্মরণ করা হয়, সে কারণে মুক্তিযোদ্ধা দিবস করার প্রস্তাব করেছে কমিটি।

আজ রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। কমিটির সভাপতি ও সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং কাজী ফিরোজ রশীদ।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মো. শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, এক সময় যখন মুক্তিযোদ্ধারা থাকবেন না তখনও যাতে তাদের স্মরণ করা হয় সে কারণে মুক্তিযোদ্ধা দিবস করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

শাজাহান খান বলেন, সরকারি ঘোষণা না থাকলেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে। সরকার যদি গেজেট আকারে একটা দিবস ঘোষণা করে তখন সেটা পালন করার একটা বাধ্যবাধকতা থাকে। আমরা মন্ত্রণালয়কে বলেছি। তারা এখন সেটা মন্ত্রিসভায় তুলবে। মন্ত্রিসভা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের প্রথম দিনটিকে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার দাবি এর আগে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম থেকে করা হয়েছিল। ২০০৪ সালের ১২ জানুয়ারি পল্টনে এক মহাসমাবেশ করার পর ওই বছর থেকেই সারা দেশে ১ ডিসেম্বরকে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে ফোরাম।

এদিকে বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মুক্তিযোদ্ধারা যেন স্বচ্ছলভাবে জীবনযাপন করতে পারেন সে লক্ষ্যে ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে তাদের মাসিক সম্মানি আট হাজার টাকা বৃদ্ধি করে মোট ২০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

আরও জানানো হয়, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট সাধারণ শিক্ষায় অধ্যয়নরত প্রতিজনকে এক হাজার টাকা এবং মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অধ্যয়নরত প্রত্যেককে এক হাজার ৫০০ হারে ২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৪৬০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়েছে।

বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে তা যাচাই-বাছাইয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনা গ্রহণের লক্ষ্যে বৃত্তিপ্রাপ্তদের বিস্তারিত তথ্য মন্ত্রণালয়কে আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।

এছাড়া জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের আয় ও ব্যয়ের বিস্তারিত হিসাব বিবরণী এবং আয়-ব্যয়ের অডিট প্রতিবেদনসহ আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।

মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের যে চিকিৎসা খরচ দেয়া হয় প্রয়োজন অনুযায়ী তা মাসিক হারে প্রদানের ব্যবস্থা করার সুপারিশ করা হয়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে