আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সেন্টার নির্মাণ করছে সরকার। আর এই সেন্টার থেকে দূষিত বর্জ্য যেন পানিতে না যায় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যে সেন্টার করা হবে, সেটা যেন পানিকে দূষিত না করে।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই নির্দেশনাসহ কয়েকটি নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
একনেক সভায় ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কদমরসুল অঞ্চলে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।
এই প্রকল্পের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রকল্পের বিষয়ে উনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যে সেন্টার করা হবে, সেটা যেন পানিকে দূষিত না করে। পানি রাখার বা জলাশয়ের যেন পাশে না করে। ফলে দেখা যাচ্ছে, একপাশে সুপেয় পানির জায়গায় আছে, অন্যপাশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পানি রয়েছে। পাখি বা অন্য কিছু পানি নষ্ট করে ফেলছে। সেটা যেন না হয়, তা খেয়াল রাখতে হবে।
আসাদুল ইসলাম বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৩০ কোটি ১৬ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল নাসিকের নিজস্ব তহবিল থেকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সেটির প্রয়োজন হবে না। আমরা যেহেতু ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে অনেক প্রকল্প দিয়েছি, তাই এই প্রকল্পের পুরো ব্যয়ই সরকারি তহবিলের অর্থে করতে হবে।
এদিকে গ্রামের রাস্তায় ভারী যানবাহন চলাচল উপোযোগী করে তৈরি করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার অনেক বছর ক্ষমতায় আছে। ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় অনেক রাস্তা তৈরি করে ফেলেছি। ফলে রাস্তা বানানোর জন্য যে বরাদ্দ, সেটার যেন যথাযথ ব্যবহার হয়। এজন্য মনিটরিং বাড়াতে হবে। আর গ্রামের রাস্তায় ভারী যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। উন্নয়ন কার্যক্রম হচ্ছে, গ্রাম ও শহরের পার্থক্য কমে যাবে। ফলে গ্রামের রাস্তায় ভারী যানবাহন চলতে পারে, রাস্তাগুলো এখন থেকে সেভাবে নির্মাণ করতে হবে।’