দ্বিতীয় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টাও ব্যর্থ, নাগর্নো-কারাবাখে তীব্র লড়াই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আর্মেনিয়া-আজারবাইজান যুদ্ধ
ফাইল ছবি

নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজান আর্মেনিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। একে অপরের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে।

দ্বিতীয় যুদ্ধবিরতি কার্যকর না করার কারণ হিসেবে একে অপরের ওপর অভিযোগ এনেছে আজারবাইজান আর্মেনিয়া। যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কয়েক মিনিটের মধ্যেই আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের সেনা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। ঘটনায় ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাশিয়া এবং জাতিসংঘ।

সপ্তাহ দুয়েক আগে মস্কোর মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির চুক্তি করেছিল আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান। কিন্তু সেই চুক্তি ফলপ্রসূ হয়নি। বরং যুদ্ধের ভয়াবহতা বেড়েছিল। গত রবিবার ফের দুই দেশকে নিয়ে শান্তি আলোচনায় বসেছিল রাশিয়া। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সারগে লাভরভের মধ্যস্থতায় নতুন করে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয় দুই দেশ। ঠিক হয়, আগামী তিন সপ্তাহ একে অপরকে আক্রমণ করবে না কোনো দেশ। সেই চুক্তির কয়েক মিনিটের মধ্যেই নতুন করে যুদ্ধ জড়িয়ে পড়ে দেশ দুটি।

আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় লিখিত বিবৃতিতে দাবি করেছে, চুক্তির কয়েক মিনিটের মধ্যেই আর্মেনিয়া আজারবাইজানের বেশ কয়েকটি শহরে গোলাবর্ষণ শুরু করে। রবিবার সারা রাত ধরেই গোলাবর্ষণ করে ধ্বংস করা হয় শহরগুলো। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হলো টারটার, আঘজাবেদি, আঘদাম।

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের অভিযোগ, অন্যায়ভাবে আর্মেনিয়া যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। একের পর এক শহরে গোলাবর্ষণের পরে আজারবাইজানও তার উত্তর দিতে বাধ্য হয়েছে।

এদিকে আর্মেনিয়ার অভিযোগ, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে আজারবাইজান। নাগর্নো-কারাবাখের যোদ্ধাদের দাবি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই কারাবাখের মারতুনি এবং আরও চারটি গ্রামে গোলাবর্ষণ শুরু করে আজারি সেনা। আর্মেনিয়ার সেনা কারাবাখের যোদ্ধাদের মদত দিচ্ছে। যোদ্ধাদের সমর্থন করে আর্মেনিয়ার সেনা জানিয়েছে, আজারি বাহিনী হামলা চালানোর পর সমান জবাব দেওয়া হয়েছে আজারবাইজানকে।

আজারবাইজান জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত নাগর্নো-কারাবাখের ১৬টি এলাকা তাদের সেনা দখল করতে পেরেছে। আর্মেনিয়া অবশ্য আজারি সেনার এই দাবি মানতে রাজি হয়নি।

বিশেষজ্ঞ মহলে প্রশ্ন উঠেছে, এই যুদ্ধ কি আরো ব্যাপক আকার নিতে পারে? এখনো পর্যন্ত আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধ সীমাবদ্ধ থাকলেও তুরস্ক আজারবাইজানকে সম্পূর্ণ সাহায্য দিচ্ছে। অন্যদিকে আর্মেনিয়াকে সাহায্য করার চুক্তিতে আবদ্ধ রাশিয়া। রাশিয়া বহু দিন ধরেই শান্তির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে