আর্মেনীয় বাহিনীকে হটিয়ে বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখে আঘবেন্ড বসতিসহ আরও ১৩টি গ্রাম দখল মুক্ত করেছে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার(২২ অক্টোবর) দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এক ঘোষণায় এ কথা জানান।
টুইট বার্তায় ইলহাম জানান, আঘবেন্ড বসতি এবং জাঙ্গিলান অঞ্চলের কলোগিসলাগ, মালাতকেশিন, কেন্ড জাঙ্গিলান, জেনলিক, ভালিগুলুবেইলি, গারাদের, চোপেন্দের, তাতার, তিরি, আমিরখানলি, গারগুলু, বারতাজ এবং দেল্লেকলি গ্রাম আর্মেনিয়ার হাত থেকে দখলমুক্ত করেছে আজারবাইজান।
এ ছাড়া এ দিন আর্মেনিয়ার একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে আজারবাইজান। এছাড়া গতকাল আরও তিনটি ড্রোন ভূপাতিত করে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী। গত তিনদিনে সাতটি আর্মেনীয় ড্রোন ভূপাতিতের দাবি করেছে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী।
২৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান নতুন করে যুদ্ধে জড়ায়।পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে ম্যারথন আলোচনা হয়।
১১ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিটের মধ্যেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান পরস্পরকে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘেনের জন্য অভিযুক্ত করে।
দ্বিতীয়বারের মতো শনিবার (১৭ অক্টোবর) রাত থেকে যুদ্ধবিরতির পরপরই গানজাতে আর্মেনিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৩ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন নারী ও তিনজন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন ৫০ জন। এরপরই দুই দেশের মধ্যে তুমুল লড়াই শুরু হয়।
কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। তবে ওই অঞ্চলটি জাতিগত আর্মেনীয়রা ১৯৯০’র দশক থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে।ওই দশকেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়।