ধর্ষণের ঘটনায় অর্থের বিনিময়ে বা অন্য কারণে সালিশে মীমাংসা করার বিষয়টি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ধর্ষণের ঘটনায় গত ৫ বছরে সারা দেশে থানায়/ আদালতে/ ট্রাইব্যুনালে কতগুলো মামলা হয়েছে তার তথ্য জানাতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (২১ অক্টোবর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার অনিক আর হক, অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান ও অ্যাডভোকেট শাহিনুজ্জামান শাহিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
পরে অনিক আর হক বলেন, রুলে মীমাংসার বিষয়টি কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত। এর আগে হাইকোর্ট থেকে তিনটি মামলায় ধর্ষণ বিষয়ে বিভিন্ন রকমের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিলো, সেগুলো এখন পর্যন্ত পালন করা হচ্ছে না, যদি পালন করা হয় তাহলে সে বিষয়ে তিনমাসের মধ্যে এক প্রতিবেদন দাখিল করবেন। এছাড়া মীমাংসার ব্যাপারগুলো যে ঘটছে এগুলোকে অবিলম্বে বন্ধ করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। এছাড়াও থানায় ও ট্রাইব্যুনালে কতগুলো ধর্ষণের মামলা হয়েছে এগুলো প্রতিবেদনও চেয়েছেন আদালত।
আইন, স্বরাষ্ট্র, সমাজ কল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।