নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা অন্তত পাঁচ হাজার বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
দেশ দুটির সঙ্গে প্রতিদিন যোগাযোগ রাখছেন তিনি। দিনে একাধিকবার ফোনে কথা হচ্ছে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে।-খবর ডয়চে ভেলের
বৃহস্পতিবার একটি টেলিভিশন বিবৃতিতে এ কথা জানিয়ে পুতিন বলেন, এই যুদ্ধে কোনো পক্ষকেই সমর্থন করছেন না তিনি। যুদ্ধ যাতে দ্রুত থামে; তার জন্য সব রকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
এদিনের বিবৃতিতে পুটিন যুক্তরাষ্ট্রকেও রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা আলোচনায় অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবারই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক হওয়ার কথা। বৃহস্পতিবার তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
নাগোরনো-কারাবাখের স্বাধীন প্রশাসন যুদ্ধে ক্ষতির একটি হিসাব দিয়েছে। তাদের বক্তব্য– বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৮৭৪ জন সেনা এবং ৩৭ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে শুধু কারাবাখে।
আজারবাইজান জানিয়েছে, সেখানে ৬১ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে সেনা মৃত্যুর কোনো সংখ্যা জানানো হয়নি।
আর্মেনিয়া কিছু দিন আগে জানিয়েছিল, যুদ্ধে হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পুতিন জানিয়েছেন, তার কাছে যা খবর, তাতে অন্তত পাঁচ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। কারণ দুই দেশই যুদ্ধবিরতি মানতে চাইছে না।
বৃহস্পতিবার পুতিন যখন এ বিষয়ে কথা বলছেন, তখনও দুই দেশের মধ্যে তীব্র যুদ্ধ হয়েছে।
আজারবাইজান জানিয়েছে, আর্মেনিয়া তিনটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে আজারি শহর লক্ষ্য করে। অন্যদিকে আর্মেনিয়ার অভিযোগ, মারতুনি শহর ও সংলগ্ন গ্রামে গোলাবর্ষণ করেছে আজারবাইজান।
২৭ সেপ্টেম্বর থেকে রাশিয়ার মিত্র আর্মেনিয়া ও তুরস্কের মিত্র আজারবাইজানের মধ্যে সংঘাত চলছে।
চুক্তি অনুযায়ী, আর্মেনিয়াকে সামরিক ক্ষেত্রে সাহায্য করার কথা রাশিয়ার। কারণ দুই দেশের মধ্যে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট চুক্তি রয়েছে।
কিন্তু পুতিনের বক্তব্য, এ যুদ্ধে কোনো পক্ষকে সাহায্য করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যাবে। ফলে দুপক্ষকে শান্তির পথে নিয়ে আসতেই হবে। এবং তার জন্য রাশিয়া সব রকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী অবশ্য বুধবারই জানিয়ে দিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে শান্তি প্রস্তাব তাদের পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব নয়।