ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৭৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত করছে সরকার। নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল হওয়ায় এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি প্রচার, উপকূলীয় জেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা, আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনা খাবার প্রস্তুত রাখা এবং জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে পর্যাপ্ত যানবাহন প্রস্তুত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
এদিকে সাগর উত্তাল থাকায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। নিম্নচাপের প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টি হয়েছে। মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির এই প্রবণতা আগামী দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলায় বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে লঘুচাপের পরিপ্রেক্ষিতে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম নিতে ত্রাণ সচিব মো. মোহসীনের সভাপতিত্বে জরুরি সভা হয়।
মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভায় ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে আগাম সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা প্রশাসনগুলোতে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোলরুম খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উপকূলীয় জেলাগুলোর আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনা খাবার ও শিশু খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য উপকরণ প্রস্তুত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এছাড়া জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত যানবাহন প্রস্তুত রাখা এবং সিপিপির ৭৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কর্মীকে প্রস্তুত রাখার সিদ্ধান্তও সভায় হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আতিকুল হক ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তারা সভায় অংশ নেন।