চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হককে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে। রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শনিবার বিকাল তিনটার দিকে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান খ্যাতিমান এই আইনজীবী। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

universel cardiac hospital

সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে আদ-দ্বীন হাসপাতাল প্রাঙ্গণে রফিক-উল হকের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মরদেহ পল্টনের বাসায় নেয়া হয়। বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা দুইটার দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে রফিক-উল হকের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তার মরদেহ বনানী কবরস্থানে নেয়া হয়। বেলা তিনটার দিকে সেখানেই তার দাফন সম্পন্ন হয়।

রক্তশূন্যতা ও প্রস্রাবের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত জটিলতা দেখা দেয়ায় গত ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রবীণ এই আইনজীবীকে। ১৭ অক্টোবর কিছুটা সুস্থবোধ করলে সকালের দিকে রিলিজ নিয়ে বাসায় ফিরে যান। এরপরে দুপুরের পরপরই ফের তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।

জানা গেছে, রক্তশূন্যতা, ইউরিন সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন প্রবীণ এই আইনজীবী। তিনি ডা. রিচমন্ড রোল্যান্ড গোমেজের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেলেন।

এর আগে গত জুনে ডায়াবেটিস কমে যাওয়ায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তখনও আদ-দ্বীন হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। তখন তিনি পল্টনের বাসায় অবস্থান করেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ছিলেন রাষ্ট্রের ষষ্ঠ প্রধান আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল)। ২০১৭ সালে বাম পায়ের হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর থেকে তার চলাফেরা সীমিত হয়ে পড়ে। এ কারণে তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেননি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে