বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে আজ রোববার ফাইনাল ম্যাচে নাজমুল একাদশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে মাহমুদউল্লাহ একাদশ। এদিন মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে নাজমুল একাদশের দেয়া ১৭৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২৯.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় রিয়াদের দল।
দলকে চ্যাম্পিয়ন করার পেছনে ব্যাটিংয়ে বড় অবদান লিটন দাস ও ইমরুল কায়েসের। দুজনই হাফ সেঞ্চুরি করেন। লিটন ব্যক্তিগত ৬৮ রানে আউট হয়ে গেলেও ইমরুল ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১১ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক রিয়াদ। আর বল হাতে বড় অবদান পেসার সুমন খানের। ১০ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ফাইনাল নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
মাহমুদউল্লাহ একাদশ ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারায়। ১২ বলে ৪ রান করে ফিরে যান ওপেনার মুমিনুল হক। এরপর লিটন দাস ও মাহমুদুল হাসান জয় ৪৮ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৬৬ রানে জয় ফিরে গেলে লিটনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ইমরুল কায়েস। দুজনে দারুণ খেলতে থাকেন। দুজনে জুটি গড়েন ৬৩ রানের। দলীয় ১২৯ রানে লিটন ফিরে গেলে ইমরুল ও রিয়াদ মিলে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৭.১ ওভারে ১৭৩ রান করে অলআউট হয় নাজমুল একাদশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন ইরফান শুক্কুর।
ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই ওপেনার সাইফ হাসানকে হারায় নাজমুল একাদশ। এরপর টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মুশফিকুর রহিম ফিরে যান মাত্র ১২ রান করে। খেলেন ৩৭ বল। অন্য ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ব্যর্থ ওপেনার সৌম্য সরকার। দলীয় ৪৫ রানে তিনি ফিরে যান মাত্র ৫ রান করে।
দলীয় ৪৫ রানে ফেরেন আফিফ হোসেন। দুই বল খেলে তিনি রানের খাতা খুলতে পারেননি। এমন ক্রান্তিকালে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু দলীয় ৬৪ রানে মিরাজের বলে মাহমুদুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি।
এরপর ৭০ রানের মূল্যবান জুটি গড়েন ইরফান শুক্কুর ও তৌহিদ হৃদয়। ব্যক্তিগত ২৬ রানে হৃদয় বিদায় নিলেও লড়ে যান ইরফান। কিন্তু পরের ব্যাটসম্যানরা তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। মাহমুদউল্লাহ একাদশের অন্য বোলারদের মধ্যে রুবেল হোসেন ২টি, ইবাদত হোসেন ১টি, মেহেদী হাসান মিরাজ ১টি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১টি করে উইকেট নেন।
করোনাভাইরাসের কারণে গত মার্চ থেকে বাংলাদেশে ক্রিকেট বন্ধ ছিল। প্রায় সাত মাস পর বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের মাধ্যমে বাংলাদেশে মাঠে গড়িয়েছে ক্রিকেট। তিনটি দল নিয়ে গত ১১ অক্টোবর টুর্নামেন্টটি শুরু হয়। টুর্নামেন্টে অপর দলটি ছিল তামিম একাদশ। তারা লিগ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফল: ৭ উইকেটে জয়ী মাহমুদউল্লাহ একাদশ।
নাজমুল একাদশ: ১৭৩ (৪৭.১ ওভার)
(সাইফ হাসান ৪, সৌম্য ৫, শান্ত ৩২, মুশফিক ১২, আফিফ ০, হৃদয় ২৬, ইরফান ৭৫, নাঈম হাসান ৭, নাসুম ৩, তাসকিন ১, আল-আমিন ২*; রুবেল ২/২৭, সুমন ৫/৩৮, ইবাদত ১/১৮, মিরাজ ১/৩৯, আমিনুল ০/২১, মাহমুদল্লাহ ১/২৮)।
মাহমুদউল্লাহ একাদশ: ১৭৭/৩ (২৯.৪ ওভার)
(লিটন ৬৮, মুমিনুল ৪, মাহমুদুল ১৮, ইমরুল ৫৩, মাহমুদউল্লাহ ২৩; তাসকিন ০/৪৫, আল-আমিন হোসেন ১/৩২, নাসুম ২/৪৮, আবু জায়েদ ০/৭, নাঈম হাসান ০/৪৪)।
ম্যাচ সেরা: সুমন খান (মাহমুদউল্লাহ একাদশ)।