প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হল বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। ষষ্ঠী তিথিতে বেলতলায় ‘আনন্দময়ীর’ নিদ্রাভঙ্গের বন্দনায় শুরু হয়েছিল এ উৎসবের। দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনে তা শেষ হলো।
আগামী বছর আবার আসবেন এই বিশ্বাসে অশ্রুসিক্ত নয়নে সোমবার দুপুরের পর থেকে দুর্গা মাকে বিদায় জানান সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
এদিন দুপুর দেড়টার দিকে বুড়িগঙ্গার ওয়াইজঘাটের বীণাস্মৃতি স্নানঘাটে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাজধানীতে দেবীকে বিদায় জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। বনানী জাকের পার্টির হিন্দু ফ্রণ্ট পূজামণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু করে। এরপর একের পর এক বিভিন্ন মণ্ডপ থেকে ঘাটে প্রতিমা আসতে থাকে বিসর্জনের জন্য। ওয়াইজঘাট ছাড়াও মোহাম্মদপুর বসিলা ব্রিজ, আশুলিয়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট, বালুনদীতে প্রতিমা বিসর্জন করেন ভক্তরা। সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যেই সম্পন্ন হয় বিসর্জনের পর্ব। ঢাকার পাশাপাশি সারাদেশেই প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে।
করোনা মহামারিতে বিধি-নিষেধের কারণে এবার হয়নি শোভাযাত্রা। হয়নি সিঁদুর খেলা। ফলে ভক্তদের সংখ্যা ছিল অন্য বছরের তুলনায় কম।
প্রতিমা বিসর্জন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পুলিশের পাশাপাশি নৌ-পুলিশ ও র্যাব সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।
বিআইডব্লিটিএ-এর ডুবুরি দল ছাড়াও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে বুড়িগঙ্গার তীরে রাখা হয় জরুরি প্রয়োজনে মাঠে নামার জন্য।
এ বছর ঢাকা মহানগরে দুইশর বেশি মণ্ডপে পূজা হয়েছে।