নৌবাহিনীর এক লেফটেন্যান্টকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ঢাকার সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এরফান সেলিমকে প্রধান আসামি করে ধানমণ্ডি থানায় মামলাও হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যার পর ধানমণ্ডিতে কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধানমণ্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, লেফটেন্যান্ট ওয়াসিক আহমেদ খানকে মারধরের ঘটনায় আজ (সোমবার) সকালে মামলা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে এরফান সেলিমকে।
লেফটেন্যান্ট ওয়াসিক ঢাকায় বিএনএস হাজী মহসীন নৌবাহিনীঘাঁটিতে কর্মরত।
জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় বই কিনে স্ত্রীসহ মোটরবাইকে ফিরছিলেন লেফটেন্যান্ট ওয়াসিক। কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়।
এ সময় মোটরসাইকেল থামিয়ে নিজের পরিচয় দেন ওয়াসিক। গাড়ি (নম্বর ঢাকা মেট্টো– ঘ ১১-৫৭৩৬) থেকে নেমে দুই ব্যক্তি তাকে মারধর শুরু করেন। এ সময় তার স্ত্রীর গায়েও হাত তোলা হয় বলে অভিযোগ ওয়াসিকের।
পরে ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হলে সংসদ সদস্যের গাড়ি ফেলে মারধরকারীরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে এমপির গাড়ি ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তার মোটরসাইকেল ধানমণ্ডি থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে ঘটনার সময় মোবাইল ফোনে একটি ভিডিও ধারণ করেছে এক প্রত্যক্ষদর্শী। এরই মধ্যে ভিডিওটি সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, আহত নৌবাহিনীর কর্মকর্তা নিজেকে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিক বলে পরিচয় দিয়ে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে ধানমণ্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া বলেন, ওই গাড়িটি সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের। ঘটনার সময় তিনি গাড়িতে ছিলেন না। তার ছেলে এরফান সেলিম, নিরাপত্তারক্ষীসহ ৫-৬ ছিলেন।
এ ঘটনায় এরফান সেলিমকে প্রধান আসামি করে ৫ জনের নামে একটি মামলা করেছেন লেফটেন্যান্ট ওয়াসিক।