সিটি করপোরেশনের সক্ষমতা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভার্চুয়াল সভা
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিটি করপোরেশন বা স্থানীয় সরকারের যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, সেগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।

universel cardiac hospital

৩১৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা খরচে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ট্রাফিক অবকাঠামো উন্নয়নসহ সড়ক নিরাপত্তা’ নামের একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এতে খরচ হবে ৩১৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা। ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে। এই প্রকল্পে ৬৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন করার প্রস্তাব ছিল।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশনের যে প্রকল্প সেখানে পুরো টাকাই সরকারের তহবিল থেকে দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

একনেক সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে সচিব বলেন, দেখা যায়, প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় লাগে, এর মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে সচিব বা কর্মকর্তারা বদলি হয়ে যান। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, যাতে এই বদলির কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো গ্যাপ (বিরতি) না হয়। তার জন্য যারা থাকবেন এবং যারা নতুন আসবেন, তাদেরকে একটি ওরিয়েন্টেশন করে তাদেরকে অবহিত করা হয় বা কোনো গ্যাপ যেন তৈরি না হয়।

‘সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২: এলেঙ্গা-হাটিকামরুল-রংপুর মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের প্রথম সংশোধন দিয়েছে একনেক।

এ বিষয়ে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব বলেন, এই প্রকল্পটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা ইতিহাস হওয়ার মতো একটি বিষয় যে, তিনটা দেশের প্রথম রাস্তা। প্রধানমন্ত্রী প্রথমবার যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, সেই সময় এটার ডিজাইন করা এবং সেসময় শুরু করা। এটি বাংলাদেশের একমাত্র রাস্তা যেখানে ধীরগতির যানবাহনের একটা সাইড লেন আছে। আর যে নির্দেশনা উনি দিয়েছেন, সেটা হলো রাস্তা তৈরির সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে পানির চলাচল যেন কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্রিজ, কালভার্ট ও পানি চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে রাস্তা এদিক-ওদিক করতে হবে। বিশেষ করে বিল, হাওর-বাঁওড় এগুলো বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কারণ এগুলো আমাদের লাইফ লাইন, এগুলো ভূগর্ভস্থ পানির স্তর রক্ষা করে, বিভিন্নভাবে পানি সরবরাহ করে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করতে তিনি এই নির্দেশনা দিয়েছেন।

‘মামলার কারণে প্রকল্প দেরি হয়ে যায়। মামলা যখনই হবে, তখনই যেন উদ্যোগী মন্ত্রণালয় সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করে, যাতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কোনোভাবে ব্যাহত না হয়’, এই নির্দেশনাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বলেও জানান সচিব।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে