স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের শর্তে আগামী ১ নভেম্বর থেকে খুলে দেয়া হচ্ছে সুন্দরবনের সব পর্যটন স্পট। পর্যটন এলাকা খুলে দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে বন অধিদফতর একটি গেজেট প্রণয়ন করেছে।
গেজেট সম্পন্নের পর মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) বন বিভাগের প্রধান কার্যালয় (ঢাকা) থেকে সেখানকার সব পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেয়ার বার্তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। বন বিভাগের খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও মোংলাসহ সব জায়গায় এ বার্তা জানানো হয়।
বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরী মঙ্গলবার রাতে এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের বনে ভ্রমণ করতে হবে। এ জন্য বন বিভাগের বিভিন্ন কার্যালয়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। এছাড়া করোনাকালে একসঙ্গে বেশি লোকজন নিয়ে ভ্রমণ করা যাবে না। মানতে হবে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্বও। সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই পর্যটন ব্যবসায়ীদের সতর্ক তাবস্থানে থাকতে হবে।
প্রধান বন সংরক্ষক বলেন, চলতি বছরের ১৯ মার্চ করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণেই সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর থেকে বেকার হয়ে পড়েন এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত পর্যটন ব্যবসায়ী, মালিক ও শ্রমিক-কর্মচারীরা। তারা সুন্দরবন পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচিও পালন করেন।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ৭ মাসেরও অধিক সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর বনবিভাগ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে আগামী ১ নভেম্বর থেকে সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গে পর্যটন কেন্দ্রগুলোর বিভিন্ন স্থাপনার উন্নয়ন, সংস্কার ও মেরামতের কাজ শুরুর নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। কারণ বিগত ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে বনের প্রধান আকর্ষণীয়স্থান করমজলসহ বিভিন্ন কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একইসঙ্গে প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছেন ট্যুরিজম ব্যবসায়ীরা। তারা তাদের নৌযানগুলোকে মেরামতসহ নানা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
ট্যুরিজম ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মিজান বলেন, আমাদের তো সবই শেষ। নৌযান অলস পড়ে থেকে সেগুলোতে নানা ধরনের ক্রুটি দেখা দিয়েছে। বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিতে হয়েছে কর্মচারীদের। ধার দেনা করে পুঁজি খাটিয়ে যে ব্যবসা শুরু করেছিলাম তা এখন যেন মরার ওপর খাড়ার ঘায়ে পরিণত হয়েছে। তারপরও যেহেতু অনুমতি দেয়া হচ্ছে আমরা সকল বিধিনিষেধ মেনেই ট্যুরিজম ব্যবসা পরিচালনা করব।