‘সিরাজগঞ্জ-১ ও ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে প্রশাসন নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে। উপনির্বাচনে আমাদের প্রার্থীকে কোনো প্রচারণা চালাতে দেওয়া হচ্ছে না। যেখানে আমরা প্রচারণা করতে যাচ্ছি, সেখানেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাদের বাধা দিচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে এর কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।’-বলে অভিযােগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম।
আজ বুধবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনিএ অভিযোগ করেন।
আবদুস সালাম বলেন, অনেকে বলেন আমরা কেন নির্বাচনে আসি। আমরা মনে করি ভোট ছাড়া সরকার পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। ভোটাররাই রাষ্ট্রের মালিক। এ সরকার ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। আমরা চাই, জনগণ তার ভোটাধিকার ফিরে পাক। এজন্যই আমরা বার বার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আমরা জনগণকে তার ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই।
তিনি আরও বলেন, সিরাজগঞ্জ-১ আসনে আমাদের প্রার্থীকে ঘর থেকে বের হতে দিচ্ছে না আওয়ামী লীগের কর্মীরা। তারা কোনো প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিতে পারছেন না। শুধু তাই নয়, আমরা বৈঠক করার সময় ঢাকা-১৮ আসনের প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীরের স্ত্রীর খিলক্ষেতের একটি এলাকায় প্রচারণায় গেলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে অসদাচরণ করেছে। আওয়ামী লীগ চায় না ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসুক।
এ সময় নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, বিএনপির প্রতিনিধি দল মোটা দাগে তিনটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে পুলিশের অসহযোগিতা, প্রচারণায় বাধা এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘন। আমরা তাদের অভিযোগগুলো শুনেছি। এ বিষয়ে কমিশন থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে বুধবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, ঢাকা-১৮ আসনের বিএনপির প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর ও বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম।
বৈঠকে সিইসি ছাড়াও নির্বাচন কমিশনের পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানম।