সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে রায়হান আহমদের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের একজন সহকারী উপ-পরিদর্শককে (এএসআই) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বৃহস্পতিবার ভোরে সিলেট পুলিশ লাইন্স থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র পরিদর্শক মাহিদুল ইসলাম।
গ্রেপ্তার আশেক এলাহী বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। রায়হান হত্যার পর তাকে সেখান থেকে প্রত্যাহার করা হয়। এ নিয়ে মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো।
এদিকে গ্রেপ্তারকৃত অপর আসামি কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে দুই দফা আট দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর পুলিশ কনস্টেবল হারুন উর রশিদকে গত শনিবার গ্রেপ্তার করে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আজ আদালতে তোলা হবে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা মাহিদুল ইসলাম।
মাহিদুল জানান, আশেক এলাহীকেও আদালতে তুলে রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চাওয়া হবে। তবে মামলার প্রধান অভিযুক্ত বন্দরবাজার ফাঁড়ি ইনচার্জ আকবর হোসেন ভুইয়া এখনো পলাতক।
রায়হান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বন্দর বাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর, হাসান উদ্দিনসহ পাঁচজনকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়।
গত ১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট নগরীর আখালিয়ার এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে এনে নির্যাতন করা হয়। পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় নিহত রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী বাদী হয়ে ১২ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।