বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ পুরুষ আসামিকে বরগুনা জেলা কারাগার থেকে বরিশাল বিভাগীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় তাদের বরিশালে পাঠানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে কড়া নিরাপত্তায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় একই মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত একমাত্র নারী আসামি ও নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক (জেল সুপার) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বরগুনা জেলা কারাগারে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের রাখার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই। এ কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রিফাত হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের বরগুনা জেলা কারাগার থেকে বরিশাল কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বরগুনা কারাগার থেকে আসামিদের বের করার সময় স্বজনদের ভিড় দেখা গেছে। এসময় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। কড়া নিরাপত্তায় আসামিদের জেলগেট থেকে প্রিজনভ্যানে উঠানো হয়।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। রায়ে নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জন অভিযুক্তকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। এছাড়া বেকসুর খালাস দেওয়া হয় এ মামলার অপর চার আসামিকে। রায়ের পর থেকেই বরগুনা জেলা কারাগারের কনডেম সেলে ছিলেন এ মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামি।
এর আগে মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির মধ্যে ছয় জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া চার জনকে পাঁচ বছর করে এবং একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং বাকি তিনজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
বরগুনা জেলা নারী ও শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। এর মধ্যে ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- মো. রাশিদুল হাসান রিশান ফরাজী (১৭), মো. রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার (১৫), মো. আবু আবদুল্লাহ রায়হান (১৬), মো. ওলিউল্লাহ অলি (১৬) মো. নাইম (১৭) ও মো. তানভীর হোসেন (১৭)।
পাঁচ বছরের দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- জয় চন্দ্র সরকার চন্দন (১৭), নাজমুল হাসান (১৪), রাকিবুল হাসান নিয়ামত (১৫) ও মো. সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ মহিবুল্লাহ (১৭)। তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত প্রিন্স মোল্লা (১৫)।
এছাড়া বেকসুর খালাস পেয়েছে মারুফ মল্লিক (১৭), রাতুল সিকদার জয় (১৬) ও আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ।