মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর জন্ম ও প্রয়াণের এই দিনে শুক্রবার সকালে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণ থেকে জশনে জুলুস শোভাযাত্রা বের করে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনিয়া মাইজভান্ডারিয়া। শোভাযাত্রাটি রাজধানীর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
শোভাযাত্রায় অংশ নিতে সকাল থেকেই ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে জড়ো হতে থাকেন মাইজভাণ্ডারির অনুসারীরা। দিনটি পালন করতে সারাদেশ থেকে আসেন অনুসারীরা। জশনে জুলুসে অংশগ্রহণকারীদের হাতে কলেমা তৈয়বা, জাতীয় পতাকা, আঞ্জুমানের পতাকা এবং নানা ধরনের বাণী ও শ্লোগান লিখিত ব্যানার ও ফেস্টুন ছিলো। মাইজভাণ্ডারির অনুসারীদের নারায়ে তাকবির, নারায়ে রেসালাত ও গাউসিয়তের ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় আশপাশের এলাকা।
মাইজভান্ডার দরবার শরীফের ইমাম শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন্ আহমদ আল্-হাসানীর নেতৃত্বে শোভাযাত্রা পর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা) উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
মন্ত্রী বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। সেই ইসলাম ধর্ম প্রচারে, মানব জাতির কল্যাণে আল্লাহ রাসূল (সা) তার দূতের মতো আমাদের মাঝে প্রেরণ করেন। আমাদের সকলের কাছে রাসূলের জীবন শিক্ষণীয়।
মোজাম্মেল হক বলেন, মহানবী অন্য ধর্মকে শ্রদ্ধা করতেন এবং তার অনুসারীদেরও অন্য ধর্ম বা ধর্মাবলম্বীদের অবমাননা করতে মানা করেছেন। কেননা কোন ধর্মের অনুসারীরাই তাদের ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের অবমাননা মেনে নিতে পারে না।
সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী বলেন, পৃথিবী থেকে অন্ধকার অনাচার ব্যভিচারসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ দূর করতে আলোর মশাল নিয়ে শুভাগমন করেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা)। এছাড়াও পৃথিবীতে মানবিক সমাজ গড়ে তোলার জন্য কাজ করেছেন এবং সকলকে আহ্বান জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আলোচক হযরত মাওলানা বাকী বিল্লাহ্ আল-আযহারী, হযরত মাওলানা রুহুল আমিন ভূঁইয়া চাঁদপুরী, আঞ্জুমান সাধারণ সম্পাদক খলিফা মো. আলমগীর খাঁন, সহ-সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
এক হাজার ৪৫০ বছর আগের এই দিনে আরবের মরু প্রান্তরে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। ৬৩ বছর বয়সে ১২ রবিউল আউয়ালেই তিনি বিদায় নেন।
সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই দিনকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করেন। এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।