এই ম্যাচটি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জন্য ছিল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। পয়েন্ট তালিকার সাত নম্বরে ছিল ডেভিড ওয়ার্নারের দল। একটি জয়ই তাদের তুলে নিয়ে আসলো চার নম্বরে। দুই নম্বরে থাকা রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে অল্প রানে গুটিয়ে দিয়ে ৫ উইকেট আর ৩৫ বল হাতে রেখে জিতেছে হায়দরাবাদ।
লক্ষ্য ছিল মাত্র ১২১ রানের। শুরুতেই ডেভিড ওয়ার্নারকে (৮) হারানোর পর ঋদ্ধিমান সাহা আর মনিশ পান্ডে দলকে ভরসা দিয়েছেন। ৩২ বলে ৩৯ রান করে আউট হন ঋদ্ধিমান। ১৯ বলে ২৬ করেন মনিশ।
এরপর কেন উইলিয়ামসন (৮) আর অভিষেক শর্মা (৮) সুবিধা করতে না পারলেও তেমন বিপদে পড়তে হয়নি হায়দরাবাদকে। ১০ বলে ১ আর ৩ ছক্কায় হার না মানা ২৬ রানে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন জেসন হোল্ডার।
এর আগে পুরো ২০ ওভার ব্যাটিং করেও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বোলারদের তোপে ৭ উইকেটে ১২০ রানেই আটকে যায় বিরাট কোহলির দল।
শারজায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে ছিল ব্যাঙ্গালুরু। ২৮ রানের মধ্যে সাজঘরের পথ ধরেন দেবদূত পাডিক্কেল (৫) আর বিরাট কোহলি (৭)। দুটি উইকেটই নেন সন্দ্বীপ শর্মা।
এরপর কিছুটা ভরসা দিয়েছিলেন জস ফিলিপ আর এবি ডি ভিলিয়ার্স। তবে তাদের কারও ব্যাটিংই টি-টোয়েন্টির সঙ্গে মানানসই ছিল না। ২৪ বলে ২৪ করেন ডি ভিলিয়ার্স, ৩১ বলে ৩২ ফিলিপ।
চালিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। কিন্তু ১৮ বলে ২১ রানের বেশি যেতে পারেননি তিনিও। ফলে ১০৬ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ব্যাঙ্গালুরু। ততক্ষণে ইনিংসের ১৭ ওভার পেরিয়ে গেছে।
শেষ পর্যন্ত আর তাই পুঁজিটা বড় হয়নি কোহলির দলের। থেমেছে ১২০ রানেই। ২৪ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন গুরকিরাত সিং।
হায়দরাবাদের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন দুই পেসার সন্দ্বীপ শর্মা আর জেসন হোল্ডার। একটি করে উইকেট টি নটরাজ, শাহবাজ নাদিম আর রশিদ খানের।