বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ও তাদের অভিভাবকদের ভোগান্তি নিরসন, আর্থিক সাশ্রয়, আবাসনসহ বহু কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতিতে নেবার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতিতে নেবার চেষ্টা শিক্ষা মন্ত্রনালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মন্জুরী কমিশন দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে।
এতে বলা হয়, অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে এ বিষয়ে তাদের ঐকমত্যও জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের মাননীয় আচার্য, মহামান্য রাষ্ট্রপতিও এ বিষয়ে তাঁর অভিপ্রায় স্পষ্ট করে ব্যক্ত করেছেন। এ বছর বিশেষভাবে বিশাল সংখ্যক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর একই সময়ে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য গণপরিবহনে ব্যাপক যাতায়াতের ফলে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির সমূহ সম্ভাবনা রোধকল্পে সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করার বিষয়টি আরও অধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায় আজ চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয়দের সাথে অনুষ্ঠিত এক সভায় অনতিবিলম্বে এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে আসতে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে আহবান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
মন্ত্রী আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পদ্ধতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ আহবান জানান।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন আমরা যদি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে সমন্বিত/গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করতে পারি তাহলে তা হবে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে এবং আমাদের স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তীকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পক্ষ থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় উপহার।
শিক্ষামন্ত্রী ডা দীপু মনি এমপির সভাপতিত্বে এ ভার্চুয়াল সভায় আরো যুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ, কমিশনের অন্যান্য সকল সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ফারজানা ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুস সোবহান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার প্রমুখ।
সভায় ‘৭৩ এর আদেশ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের তিনটির উপাচার্যবৃন্দ এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মাননীয় আচার্যের অভিপ্রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সমস্যা নিরসনে এবং বিশেষত: করোনা সংকটকে বিবেচনায় নিয়ে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহন এবং এর স্বচ্ছতা ও মান বজায় রাখার বিষয় নিশ্চিত করতে গ্রহনযোগ্য পদ্ধতি অবলম্বনের জন্য স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের সাথে আলোচনা করে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয় মন্জুরী কমিশনের সাথে বসে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।