মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে গ্রেট ব্রিটেনে দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে চার সপ্তাহের জাতীয় লকডাউন কার্যকর হবে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, দ্বিতীয় দফার লকডাউনে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ না রাখলেও চলবে। তবে রেস্তোরাঁ, ফিটনেস সেন্টার (জিম) ও অপ্রয়োজনীয় দোকানপাট বন্ধ থাকবে। চলতি বছরের ২ ডিসেম্বর নাগাদ লকডাউন শিথিল করা হতে পারে।
ইউরোপের মধ্যে ইংল্যান্ডই মহামারিতে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। দৈনিক ২০ হাজারের বেশি মানুষ এখন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, এই সংখ্যা পৌঁছতে পারে ৮০ হাজার পর্যন্ত।
দেশজুড়ে সংক্রমণের হার লাগামছাড়া হয়ে গিয়েছে—বিজ্ঞানীদের পক্ষ থেকে এই মর্মে সতর্কতা পাওয়ার পরেই ফের লকডাউনের পথে হাঁটলেন জনসন। এর আগে ইংল্যান্ডে প্রথম দফার লকডাউন ছিল ২৩ মার্চ থেকে ৪ জুলাই। সে বারও লকডাউন দেরিতে ঘোষণা করায় সমালোচিত হয়েছিলেন জনসন। তিনি নিজেও কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এপ্রিলে।
এখনো অবধি ইংল্যান্ডে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৫৯ হাজার। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মহামারিতে মৃত্যুর দিক দিয়ে বিশ্বে ইংল্যান্ডের স্থান পঞ্চম। তার আগে রয়েছে আমেরিকা, ব্রাজিল, ভারত এবং মেক্সিকো।