ডিসেম্বরে পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচন শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

কে এম নুরুল হুদা
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। ফাইল ছবি

পৌরসভাসহ মেয়াদোত্তীর্ণ স্থানীয় সরকারের নির্বাচন কয়েক ধাপে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ডিসেম্বরের শেষ দিকে শুরু হয়ে মে মাসের মধ্যে নেয়া হবে এসব স্থানীয় সরকারের ভোট। তবে কয় ধাপে ভোট নেয়া হবে তা এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।

আজ সোমবার নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে এসব তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

সিইসি জানান, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত যেসব পৌরসভা, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ শেষ হবে ডিসেম্বরের শেষ দিকে সেসব জায়গায় ভোটগ্রহণ শুরু করতে চায় নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশন পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন মে মাসের মধ্যে শেষ করার আশা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, পৌরসভার নির্বাচন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সিইসি বলেন, জানুয়ারির মধ্যে এবং ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে যেসব পৌরসভা, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ শেষ হবে, সেগুলোর ভোট আগামী ডিসেম্বরের শেষের দিকে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আপাতত পাঁচ ধাপে এসব নির্বাচন শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

বৈঠক নিয়ে বলতে গিয়ে সিইসি বলেন, আজকে আমরা লম্বা মিটিং করেছি। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন যেগুলো ডিউ হয়েছে, সেগুলো পরিচালনা করা, সিডিউল তৈরি এবং রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ থেকে শুরু করে যেগুলো করণীয়, সেগুলো ঠিক করেছি। জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে যেসব নির্বাচন ডিউ হবে, সেগুলো হয়তো আমরা করে ফেলবো, হয়তো ডিসেম্বরের শেষের দিকে। সেরকম প্রস্তুতি আমাদের আছে।

নূরুল হুদা বলেন, পৌরসভার নির্বাচন ইভিএমে হবে। উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচন বা সাধারণ নির্বাচনের সবগুলোতে ইভিএমে করা যাবে না। হয়তো কিছুসংখ্যক করা যেতে পারে, এনআইডির ডিজি পৌরসভার নির্বাচনগুলো ঠিক করার পরে যদি মনে করেন, তার ক্যাপাসিটি আছে তবে হয়তো কিছু নির্বাচন ইভিএমে করবে।

সিইসি জানান, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত পৌরসভা, জেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের যেসব নির্বাচন ডিউ হবে, সেগুলো করা হবে। এ সময়ের পৌরসভা খালি হবে ২০টির উপরে। এছাড়া অনেকগুলো হবে উপনির্বাচন।

নূরুল হুদা বলেন, আমরা আশা করি, পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন মে মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা যাবে। এগুলো ধাপে ধাপে করা হবে। আমাদের অনুমান, পাঁচটি ধাপে নির্বাচন শেষ করতে পারবো। তবে এখনো আমরা ঠিক করিনি কয় ধাপে নির্বাচন করা হবে।

এসময় গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের সংশোধনী নিয়ে সিইসি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ থেকে শুধু মাত্র রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের বিষয়টি সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। তবে সরকার চাইলে তা পুনর্বহাল করা হবে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে