মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার এক বাড়ি থেকে প্রায় ৮ মেট্রিক টন মা ইলিশ জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি টিম।
সোমবার বিকেল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উপজেলার কলমা ইউনিয়নের ডহরী গ্রামের সেন্টু সর্দারের বাড়ি থেকে অর্ধ কোটি টাকা মূল্যের এসব মা ইলিশ উদ্ধার করা হয়।
লৌহজং উপজেলা সহকারী কশিমশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মু. রাশেদুজ্জামান অভিযান শেষে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার বিকেলে লৌহজংয়ের কলামা ইউনিয়নের ডহরি গ্রামের সেন্টু সর্দারের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি দল।
এ সময় সেন্টু সর্দারের তালাবদ্ধ ঘরের তালা ভাঙতেই সারিবদ্ধ অবস্থায় ৫৯টি কর্কশিটের বাক্স দেখতে পাই। বাক্সগুলো খুলতেই বরফ দিয়ে ঢাকা মা ইলিশের মজুত বেরিয়ে আসে। প্রতিটি বাক্সে প্রায় ১ কেজি ওজনের শতাধিক মা ইলিশ মজুত ছিল।
তিনি আরও জানান, ইলিশের প্রজনন সময় সরকার ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশের নদ-নদীতে মা ইলিশ শিকার নিষিদ্ধ করেছে। এরপরও কিছু মৌসুমী জেলে ও মৌসুমী ব্যবসায়ী অসৎ উপায়ে মুনাফা লাভের আশায় মা ইলিশ নিধন করে থাকেন।
তবে আমাদের অভিযান প্রতিদিন নদীতে অব্যাহত রয়েছে। জেল জরিমানা ও করা হচ্ছে। তবে এই অভিযানে যেই মাছ জব্দ করা হয়েছে তা এক মৌসুমী ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা ইতোপূর্বে উদ্ধারকৃত মা ইলিশ লৌহজং উপজেলার প্রায় প্রতিটি এতিমখানায় বিলি করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আমরা চিন্তা করেছি যেহেতু প্রচুর ইলিশ, তাই এবার উপজেলার বাইরে জেলার অন্যান্য উপজেলার মাদরাসা ও এতিমখানায় এসব ইলিশ বিতরণ করা হবে।
অভিযানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইলিয়াছ শিকদার, লৌহজং উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান আসাদ, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইদ্রিস তালুকদার, উপজেলা দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা এমরান তালুকদারসহ সরকারী কর্মকর্তা ও লৌহজং থানা পুলিশ।