যুক্তরাষ্ট্রে মঙ্গলবার থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শুরু হয়েছে। এটিকে সবচেয়ে আলোচিত মার্কিন নির্বাচন বলা হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন স্বাভাবিকভাবেই অনেক দেশের স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব বিস্তার করে। আর এই নির্বাচন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংবাদের শিরোনাম হবে এটিই স্বাভাবিক।
মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) রাশিয়ায় চ্যানেল ওয়ান টিভির সকালের অনুষ্ঠানে বলা হয়, এই নির্বাচন এক দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক সংকটে রূপ নিতে পারে।
দেশটির অপর একটি চ্যানেল ‘রুশিয়া ২৪’ বলেছে, বিক্ষোভকারী আর লুটেরাদের কাছ থেকে রক্ষায় আমেরিকার সর্বত্র বিভিন্ন ভবন, দোকানপাটে এখন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ সিবিএস টিভিকে যে সাক্ষাতকার দিয়েছেন, দেশটির ইংরেজি ভাষার টিভি চ্যানেল প্রেস টিভি সে বিষয়ে একটি খবর প্রচার করেছে।
তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানের সঙ্গে বিদ্বেষমূলক আচরণ বন্ধ করে, তাহলে হোয়াইট হাউসে যিনিই থাকুন, পরিস্থিতি কিন্তু বদলে যাবে।
এছাড়া আরব গণমাধ্যমে এই নির্বাচনের খবর গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করা হচ্ছে।
সৌদি আরবের আল আরাবিয়া টিভি বলেছে, অভূতপূর্বভাবে বিভক্ত এবং খুবই উত্তেজনাকর এক পরিবেশে এই নির্বাচন হচ্ছে, দাঙ্গা এবং বিক্ষোভের আশংকা করা হচ্ছে।
তুরস্কের সরকারপন্থী গণমাধ্যমের খবরে মনে হচ্ছে যেন তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পুনঃনির্বাচনের পক্ষে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের বেশ উষ্ণ সম্পর্ক।
তবে উদারপন্থী ‘কারার’ এবং জাতীয়তাবাদী ‘ইয়েনিক্যাগ’ পত্রিকায় বলা হয়েছে, এই নির্বাচন হয়ত পুলিশ স্টেশনে গড়াতে পারে এবং প্রার্থীরা হয়ত ভোটের ফল নিয়ে আপত্তি জানাতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় সাড়ে ২৩ কেটি ভোটারের মধ্যে প্রায় দশ কোটি ইতোমধ্যেই ভোট দিয়ে দিয়েছেন। দেশটিতে মোট ইলেক্টোরাল ভোটের সংখ্যা ৫৩৮। কোনো প্রার্থী জিততে হলে তাকে ২৭০টি ভোট পেতে হবে।
বিবিসি বলছে, ভোট গণনা শেষ হতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে, তবে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর দ্রুত একটা ট্রেন্ড স্পষ্ট হতে পারে।