মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় অনুযায়ী এখন সোমবার প্রায় মধ্যরাত। রাত পোহালেই শুরু হবে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াই। পরবর্তী চার বছরের জন্য আমেরিকার মসনদে কে থাকবেন সেটি বাছাই করবেন মার্কিনিরা। তবে অবাক করা বিষয় হলো নির্বাচনের দিন আসার আগেই দেশটির অর্ধেক ভোটার তাদের ভোট দিয়ে ফেলেছেন। দেশটির ইতিহাসে এবারেই সর্বোচ্চ অগ্রিম ভোট পড়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ১৫.৩ কোটি নথিভুক্ত ভোটার (যা মোট ভোটদাতার ৬৫ শতাংশ)। এর মধ্যে অগ্রিম ভোট দিয়ে ফেলেছেন ৯ কোটি ২৫ লাখ ভোটার। এই সংখ্যাটি গত বারের মোট ভোটদাতার (১৩.৬৫ কোটি) দুই-তৃতীয়াংশ এবং এবার মোট যত ভোট পড়তে পারে, তার অর্ধেকের বেশি। এই বিপুল সংখ্যক ‘পোস্টাল ও আর্লি ভোটিং’ এর আগে কখনো দেখেনি যুক্তরাষ্ট্র।
ধারণা করা হচ্ছে করোনাভাইরাস মহামারির কারণেই এবার সবচেয়ে বেশি অগ্রিম ভোট পড়েছে। বিশ্বে করোনাভাইরাসের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা দেশটিতে।
বিভিন্ন জনমত সমীক্ষা বলছে, পাল্লা ভারী ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী, বারাক ওবামার আমলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার সঙ্গী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের দিকেই।
সর্বশেষ জরিপেও বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে বাইডেন শিবির। তবে ২০১৬ সালের নির্বাচনের ফলাফল জরিপের উল্টো হওয়ার কারণে সবদিক দিয়ে এগিয়ে থাকলেও ফল না পাওয়া পর্যন্ত ভরসা করতে পারছে না তারা।
অপরদিকে মনের জোর এবং নিজের মতোই অটল রয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এসব জরিপের ধার ধারছেন না। নির্বাচনে তার জয় হবেই বলেও বেশ কয়েকবার প্রত্যয় শোনা গিয়েছে তার কণ্ঠে।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯৫ লাখের বেশি। মৃত্যু হয়েছে ২ লক্ষ ৩৬ হাজারের বেশি মানুষের। ট্রাম্প নিজেও আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারপরও ট্রাম্প বলেই যাচ্ছেন, ‘দেশ ঘুরে দাঁড়াচ্ছে’। সোমবার নির্বাচনের একদিন আগে হুমকি দিয়েছেন, ফের ক্ষমতায় এলে তার অন্যতম প্রধান সমালোচক, করোনা টাস্ক ফোর্সের প্রধান অ্যান্টনি ফাউচিকে বরখাস্ত করবেন। এই মহামারি সংকট সামলাতে না পারা নির্বাচনে ট্রাম্পের ওপর প্রভাব পড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে।