রংপুরে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এএসআই রায়হানুল ইসলামসহ দুই নারীর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্ত্তী শুনানি শেষে রায়হানুল ইসলামের ৫ দিন ও সুমাইয়া আক্তার মেঘলা ওরফে আলেয়া এবং সুরভি আক্তার ওরফে সমাপ্তির ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে অভিযুক্ত রায়হানুলকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানালে বিচারক আজ বুধবার শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন। ওইদিন এ দুই নারীকেও আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন।
তিনি বলেন, অধিকতর তদন্তের স্বার্থে আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়। বিচারক এএসআই রায়হানুল ইসলামের ৫ দিন এবং দুই নারীর ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
মামলায় গ্রেফতার দুই আসামি বাবুল হোসেন (৩৮) ও আবুল কালাম আজাদ গত ২৮ অক্টোবর দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রংপুর মহানগর পুলিশের হারাগাছ থানাধীন ময়নাকুঠি কচুটারি এলাকার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন মহানগর ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলাম। পরিচয়ের সময় রায়হানুল তার ডাক নাম রাজু বলে জানান ওই ছাত্রীকে।
প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে গত ২৩ অক্টোবর ওই ছাত্রীকে সিগারেট কোম্পানির ক্যাদারের পুল এলাকার ডা. শহিদুল্লাহ মিয়ার ভাড়াটিয়া সুমাইয়া আক্তার মেঘলা ওরফে আলেয়ার বাড়িতে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন রায়হানুল। পরে ২৪ অক্টোবর রাতে ভাড়াটিয়া মেঘলা ও তার সহযোগী সুরভি আক্তারের সহায়তায় বাবুল ও কালাম তাকে গণধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পুলিশ সদস্য রায়হানুল ইসলাম ওরফে রাজু ও মেঘলার নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হারাগাছ থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। অধিকতর তদন্তের স্বার্থে মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়।