বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নিহতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রায়ে দেয়া অর্থদণ্ড স্থগিত করা হয়েছে।
আজ বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে মিন্নির আপিলের পক্ষে শুনানি করেন জেড আই খান পান্না। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন বাপ্পী।
মিন্নির আইনজীবী মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, মিন্নির পক্ষে খালাস চেয়ে আজ আপিল কোর্টে উপস্থাপন করা হয়েছিল। আদালত আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন এবং বিচারিক আদালতের দেয়া ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড স্থগিত করা হয়েছে। অপর এক আসামি মোহাইমেন ইসলাম সিফাতের আপিলও শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে রিফাত হত্যার রায়ে দণ্ড পাওয়া তিন আসামির বিষয়েও গত ১৩ অক্টোবর একই আদেশ দেন হাইকোর্টের এই বেঞ্চ।
ওই তিন আসামি হলেন, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মো. হাসান এবং মো. রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজীর আপিল করার তথ্য জানা গেলেও কোনো আদেশ হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।
গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে তাঁর স্ত্রী আযেশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। এরপর তাকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেদিন বিকেলে তিনি মারা যান। পরের দিন ২৭ জুন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বরগুনা থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় প্রধান সাক্ষী করা হয় আয়েশাকে। পরে অভিযোগপত্রে ৭ নম্বর আসামি হিসেবে নাম আসে তার।