বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে অনিয়মের কারণে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ক্ষতি হওয়া টাকা দুই মাসের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলেছে সংসদীয় কমিটি।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি হিসাব কমিটির বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অডিট আপত্তি নিয়ে আলোচনার সময় এ সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে ২০১০-১১, ২০১১-১২ অর্থবছরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের তিনটি বিভাগের (ঢাকা, বরিশাল, সিলেট) কাজে নির্দেশ উপেক্ষা করে লাইসেন্স নবায়ন ফি, তালিকাভুক্তি ফি, ফরম বিক্রি, টেন্ডার সিডিউল বিক্রি বাবদ আদায়কৃত রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা না করে অনিয়মিতভাবে বেসরকারি ব্যাংকে জমা রাখায় সরকার নয় কোটি ২৬ লাখ ৫২ হাজার ৭৫৯ টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
কমিটির কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, এ অডিট আপত্তি নিয়ে প্রধান হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কার্যালয় বলেছে- বেসরকারি ব্যাংকে জমা হওয়া টাকা থেকে যে সুদ হয়েছে সেই টাকাও সরকারি কোষাগারে রাখতে হবে। এছাড়া নির্মাণ কাজ শেষ করতে ব্যর্থ ঠিকাদারের কার্যাদেশ জরিমানার ভিত্তিতে বাতিল করা সত্ত্বেও জরিমানার অর্থ আদায় না করায় সরকারের ক্ষতি হওয়া তিন কোটি ১৪ লাখ ৭১ হাজার ৬৮৩ টাকা আদায় করে দুই মাসের মধ্যে জমা দেয়ার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, ওই দুই অর্থবছরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনিয়মিতভাবে উন্নয়ন প্রকল্পের চাকরিকাল গণনা করে টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড স্কেল দেয়ায় এবং অনিয়মিতভাবে অস্থায়ী রাজস্ব বাজেটে স্থানান্তরের আগেই প্রকল্পের কর্মচারীদের চাকরি বিরতিকালের বেতনভাতা বাবদ ছয় কোটি ৪৯ লাখ ১৭ হাজার ৯৮০ টাকা পরিশোধ করায় সরকারের আর্থিক ক্ষতি সংক্রান্ত অডিট আপত্তি পর্যালোচনা করতে একটি কমিটি গঠন করার সুপারিশ করা হয়।
ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণ কাজে ৩৩ শতাংশ রড কম ব্যবহার করার পরও মেজারমেন্ট নিয়ে বিল পরিশোধে সরকারের দুই কোটি ১৪ লাখ ৯৬ হাজার ২৭৫ টাকা আর্থিক ক্ষতির অর্থ দুই মাসে আদায় এবং দ্রুত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
কমিটির সভাপতি ডা. মো. রুস্তম আলী ফরাজীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. আবদুস শহীদ, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জহিরুল হক ভূঞা মোহন, মনজুর হোসেন, মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এবং মো. জাহিদুর রহমান অংশ নেন।