আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের মানুষ জিম্মি নয় বরং দেশের মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ হাওয়া ভবন তন্ত্রের জুলুম ও মিথ্যাচার থেকে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শুক্রবার সরকারি বাসভবন থেকে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেছেন সরকার না কি জনগণকে জিম্মি করে দেশকে অন্ধকারে দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বিএনপি বরাবরের মতো সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম অসত্য অভিযোগের তীর ছুঁড়ে যাচ্ছে। বিএনপি দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি দেখতে পায় না বলেই সরকারের কোনো অর্জন তাদের চোখে পড়ে না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্জনের গল্প বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে যখন প্রশংসিত তখন বিএনপি অন্ধকার দেখে। যাদের দেখার চোখ নেই, তারা তো চারদিকে অন্ধকার দেখবেই। বিএনপির দৃষ্টিসীমা ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন, তাই তারা ক্ষমতায় যেতে অন্ধকারের চোরাগলি খোঁজে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের মানুষ ভালো আছেন বলেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ওপর তাদের আস্থা দিন দিন সুদৃঢ় হচ্ছে। তৃণমূলসহ দেশের মানুষকে উন্নতর জীবন দেয়াই শেখ হাসিনার লক্ষ্য।
তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব বলছেন আমি না কি শুধু বিএনপির কথা বলি। আমি বিএনপির বিরুদ্ধে বলি না, বলি বিএনপির মিথ্যাচার ও অপরাজনীতির বিরুদ্ধে। দেশের অব্যাহত সমৃদ্ধিতে বিএনপির চোখের কোণে বালি জমেছে।
কাদের বলেন, দেশের উন্নয়ন এবং এগিয়ে যাওয়ার কথা তাদের কানে জ্বালা ধরায়, তারা শুধু নিজেদের অংশটুকুই শুনতে পায়। অন্য কিছু শুনতে ও দেখতে পায় না। শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের ঢোল পেটানোই এখন বিএনপির নিত্যদিনের রুটিন ওয়ার্ক। আমি বই লিখেছি, সাহিত্যের অন্যান্য ধারায় যুক্ত ছিলাম। কিন্তু ফখরুল সাহেব ছাত্র জীবনে ভালো অভিনয় করতেন, সেই ধারাবাহিকতাই মির্জা ফখরুল সাহেব তাঁর রাজনৈতিক জীবনে প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব সত্যকে সত্য বলতে চান, সাদাকে সাদা আর কালোকে কালোও বলতে চান। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য কারণে তা বলতে পারেন না। আর এজন্যই সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েও সংসদে যেতে পারেননি। ফখরুল সাহেব রাজনীতির কারণে যা বলেন, তা তিনি নিজেও বিশ্বাস করেন না বলে জনমনেও সংশয় রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।