রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্র্যাটদলীয় প্রার্থী জো বাইডেন। ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর ৫৩৮ ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে ম্যাজিক সংখ্যা ২৭০টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।
শনিবার পেনসিলভানিয়ার ২০টি ইলেকটোরাল ভোট জয়ের মধ্য দিয়ে তার ২৭৩টি ইলেকটোরাল ভোট নিশ্চিত হয়।
একইসঙ্গে প্রথম নারী ও প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কমলা হ্যারিস।
এখনও নর্থ ক্যারোলিনা, জর্জিয়া, অ্যারিজোনা, নেভাদা ও আলাস্কা- এই পাঁচটি রাজ্যের ফল ঘোষণা বাকি রয়েছে। এর মধ্যে জর্জিয়ার ভোট পুনঃগণনা হচ্ছে।
নির্বাচনের ফল জানতে সবার দৃষ্টি ছিল পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের দিকে। এই রাজ্যে জিতলেই বাইডেনের জয় নিশ্চিত হতো। হয়েছেও সেটাই। পেনসিলভানিয়ায় জয়ের ফলে আগেই ২৫৩ ইলেকটোরাল ভোট পাওয়া বাইডেনের মোট ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭৩। বাকি পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প জয় পেলেও তার ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা দাঁড়াবে ২৬৫।
এদিকে আগে থেকেই জয়ের আভাস দিচ্ছিলেন জো বাইডেন। শুক্রবার রাতে ডেলওয়্যারে নিজ শহর উইলমিংটন থেকে দেয়া এক ভাষণে বাইডেন বলেছিলেন, আমরা এখনও বিজয়ের চূড়ান্ত ঘোষণা পাইনি। তবে সংখ্যা বলছে এটি পরিষ্কার, আমরা এই প্রতিযোগিতায় জিতে যাচ্ছি। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বলেছিলেন, আমরা সাত কোটি ৪০ লাখের বেশি ভোট পেয়েছি; যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে আর কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী পাননি।
এদিকে ভোট গণনার শুরু থেকেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোট জালিয়াতির কথা বলে আসছিলেন। তবে এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল নির্বাচন কমিশনার এলেন ওয়াইনট্রাব বলেছেন, এ বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জালিয়াতির কোনো প্রমাণ মেলেনি।
শনিবার সিএনএনকে তিনি বলেন, রাজ্যের ও স্থানীয় কর্মকর্তারা, সারা দেশের নির্বাচন কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন। নির্বাচন যেভাবে হয়েছে তা নিয়ে খুব সামান্য কিছু অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তিনি আরও বলেন, আমি বলতে চাই, ভোট জালিয়াতির কোনো ধরনের প্রমাণ কোথাও পাওয়া যায়নি। অবৈধভাবে ভোট দেওয়ার কোনো প্রমাণ নেই।
তিনি আরও বলেন, জালিয়াতির কোনো অভিযোগ কোথাও পাওয়া যায়নি। যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, সেখানেও কোনো প্রমাণ দেওয়া হয়নি।