২০২০ সাল চলচ্চিত্রের বছর হিসেবে সবাই স্বপ্ন দেখলেও করোনা ভাইরাস সব স্বপ্ন ভঙ্গ করে দেয়। কিছু ছবি সেন্সর পেয়ে বসে আছে, কিছু আছে সনদের অপেক্ষায়। আবার কিছু সিনেমার শুটিং প্রায় শেষের দিকে। এমন অর্ধশত চলচ্চিত্র মুক্তির প্রহর গুণলেও করোনাকালে সিনেমাগুলোর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লোকসানের আশঙ্কায় ছবি মুক্তিতে আগ্রহী নন প্রযোজকরা।
গত ১৬ অক্টোবর দীর্ঘ সাত মাস পর সিনেমা হল খুললেও প্রথম দিনে মুক্তি পায় মানহীন একটি ছবি। যেটি প্রথম দিনই মুখ থুবড়ে পড়ে। পরের সপ্তাহে সিনেমা সংকটে ভোগেন হল মালিকরা। সে সংকট এখনও বিদ্যমান। নতুন ছবির অপেক্ষায় হল মালিকরা। ভালো ছবি না থাকায় এখনও বন্ধ রয়েছে মধুমিতা, বলাকা সহ বেশ কয়েকটি সিনেমা হল।
ছোটপর্দার অভিজ্ঞতা নিয়ে বড় পর্দায় পা রাখেন পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী। নির্মাণ করেন ‘বিশ্ব সুন্দরী’। যদিও করোনার কারণে বাক্সবন্দি তার স্বপ্নের ছবিটিও। একই গল্প আরেক নির্মাতা ফয়সাল আহমেদের। অদৃশ্য ভাইরাসের দাপটে তার ‘মিশন এক্সট্রিম’ ছবিটির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
বিদ্রোহী, শ্বশুর বাড়ি জিন্দাবাদ টু, নারী শক্তি ও বিশ্ব সুন্দরী। এমন ২২টি ছবি যেমন পেয়েছে সেন্সর সনদ তেমনি অনুমতির অপেক্ষায় আছে শান, পরান, জ্বীন, বিক্ষোভ, ক্যাসিনো, আনন্দ অশ্রু’র মতো ডজন খানেক চলচ্চিত্র। আবার শুটিং শেষের পথে অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন, অপারেশন সুন্দরবন, ওস্তাদ, আদম, টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই, গিরগিটি, সিক্রেট এজেন্ট, উত্তেফাক কিংবা দিন দ্যা ডে’র মতো ২০ ছবি।
এই যখন বাস্তবতা তখন কি আছে অর্ধশতাধিক ছবির ভাগ্যে? এমন প্রশ্নই সিনেমা সংশ্লিষ্টদের মনে। সিনেমার কর্তাব্যক্তিদের মতে, কোভিড নাইন্টিন যে আতংক ছড়িয়েছে তা সহজে ভোলার নয়। আর তাই অর্ধশত ছবির মুক্তি যেমন অনিশ্চিত, তেমনি অনিশ্চিত সিনেমাগুলোর ব্যবসায়িক সাফল্য।