মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁও এলাকায় একটি তেলবাহী ট্রেনের সাতটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ২৩ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এর ফলে সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে সাতটি ট্রেনের যাত্রা বাতিল হয়েছে। এতে কয়েক হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। তাদের গন্তব্যে পৌঁছা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনটি সকালে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন রেলওয়ের প্রকৌশলীরা লাইন মেরামতের কাজ করছেন। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে আরও এক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী মাস্টার মো. মিজানুর রহমান।
রোববার (৮ নভেম্বর) সকাল ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধারের পর এখন ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন মেরামত করছে রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগ। বন্ধ আছে বিভাগীয় শহর সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ। সাতটি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করায় কয়েক হাজার ট্রেনযাত্রী দুর্ভোগে পড়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (৭ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শ্রীমঙ্গলে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে, জয়ন্তিকা, উদয়ন, পারাবত, পাহাড়িকা ও উপবন ছেড়ে যায়নি। এছাড়া ঢাকা থেকে আরও দুটি ট্রেন সিলেট আসার কথা ছিল। এর মধ্যে পারাবত ও উদয়ন ঢাকায় এবং উপবন চট্টগ্রামে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেন দুর্ঘটনার কারণে ওই ট্রেনগুলোর যাত্রা বাতিল হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন সিলেটের ট্রেনযাত্রীরা।
এদিকে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ জানতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক খলিলুর রহমান বলেন, শ্রীমঙ্গলে দুর্ঘটনার কারণে সিলেট স্টেশন থেকে জয়ন্তিকা, পারাবত, উদয়ন ও উপবনসহ মোট সাতটি ট্রেনের যাত্রা এ পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে। যেসব ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে তাদের টিকিটের টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলী সুলতান আলী বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত তেলবাহী ট্রেনটি উদ্ধার করা হয়েছে। এখন লাইন মেরামতের কাজ চলছে। রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে আরও ঘণ্টা দুই সময় লাগবে।