অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছে সৌদি আরব। তবে বাইডেন নির্বাচিত হওয়ার পর এ অভিনন্দন জানাতে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের এই রাজতান্ত্রিক দেশটি।
জয় নিশ্চিত হওয়ার পর পুরো দুনিয়া যখন বাইডেনকে অভিনন্দন জানাতে ব্যস্ত তখন নীরব ছিলো সৌদি আরব। তবে বাইডেনের বিষয়ে নীরব থাকলেও পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় তানজানিয়ার প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত রবিবার জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসকে অভিনন্দন জানান সৌদি বাদশাহ সালমান ও তার পুত্র যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এ সময় তারা দুই দেশের বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করতে রিয়াদের আগ্রহের কথা জানান।
বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার ইহুদি জামাতা জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক রয়েছে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের। ট্রাম্প-কুশনারের প্রচেষ্টাতেই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে উদ্যোগী হয় মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি প্রভাব বলয়ের একাধিক দেশ। সৌদি আরবও ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে বলে জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। খাশোগি হত্যকাণ্ডের জবাবদিহিতা থেকেও যুবরাজের সুরক্ষা নিশ্চিত করেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এখন বাইডেনের জয়ের মধ্য দিয়ে দৃশ্যত হোয়াইট হাউজে নিজের ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে হারালো রিয়াদ। সাংবাদিক জামাল খাসোগির নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সৌদি যুবরাজের জবাবদিহিতার দাবি তুলেছিলেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নির্বাচনি প্রচারে রিয়াদের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তিনি। আহ্বান জানিয়েছেন ইয়েমেনে সৌদি আগ্রাসনে মার্কিন সহায়তা বন্ধের।