ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে সাততলা ভবনের ছাদ থেকে তামান্না ময়না (১৩) নামে এক শিশু গৃহকর্মীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ পাশের ডোবায় ফেলে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই ভবনের নিরাপত্তারক্ষী মোহনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণখানের তালতলা নর্দাপাড়ায় রূপালী গার্ডেনের একটি সাততলা ভবনের তৃতীয় তলার বাসিন্দা রুবিনা ইয়াসমিনের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করত তামান্না ময়না। সাততলার ছাদে গৃহকর্ত্রী রুবিনা ইয়াসমিনের ‘ছাদবাগান’ রয়েছে। প্রতিদিন সকালে ময়না ওই ‘ছাদবাগানে’ পানি দিতে যায়। ওই বাড়ির দারোয়ান মোহনের দায়িত্ব প্রতিদিন সকালে বাড়ির ছাদের ট্যাংকে পানি আছে কিনা তা দেখা।
রোজকার মতো রবিবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে মেয়েটি ছাদে ওঠে গাছে পানি দিতে। এসময় মোহন যায় ট্যাংকের পানি দেখতে। ছাদে ময়নাকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে মোহন।
পুলিশ জানায়, এরপর দু’জনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে ছাদে ফেলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে ময়নাকে সে হত্যা করে। পরে লাশ দুই হাতে তুলে পাশের ডোবায় ফেলে দেয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ময়নাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে মোহন। তার বাড়ি গাইবান্ধা জেলায়। রবিবার রাত ১টার দিকে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার প্রস্ততি চলছিল। আজ সোমবার তাকে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে পাঠানো হবে।
পুলিশের উত্তরা বিভাগের দক্ষিণখান জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এএসএম হাফিজুর রহমান বলেন, দারোয়ান মোহন ময়নাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে মেয়েটিকে সে হত্যা করে। হত্যার পর ছাদ থেকে লাশটি পাশের ডোবায় ফেলে দেয়।