ডেমোক্র্যাট দলের জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছেন। আগামী জানুয়ারিতে তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন।
তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অনুসৃত বেশকিছু নীতি বদলে দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি জো বাইডেন আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন। এরপর তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের বেশ কিছু নীতি বাতিল করে নির্বাহী আদেশ দেবেন।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, যেসব মুসলিম প্রধান দেশের উপর ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন সেগুলো খুব দ্রুত তিনি বাতিল করবেন। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ছিল ইরান, সিরিয়া, লিবিয়া, সোমালিয়া, ইয়েমেন, ভেনেজুয়েলা, উত্তর কোরিয়া, নাইজেরিয়া এবং মিয়ানমার।
আফ্রিকার দেশ সুদানও এই তালিকায় ছিল। তবে পরবর্তীতে সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব জোটে যোগ দিয়ে ইয়েমেনে বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেয়ার কারণে সুদানকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেয় ট্রাম্প প্রশাসন।
এছাড়া, যে সব কিশোর-তরুণ অবৈধভাবে তাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য আমেরিকায় প্রবেশ করেছে তাদেরকে সে দেশে থাকার অনুমতি দেবেন বলে জানিয়েছেন বাইডেন। তিনি এ সংক্রান্ত আইন পুনর্বহাল করতে চাচ্ছেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেছেন। এ চুক্তিও পুনর্বহাল করতে চান জো বাইডেন। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে ট্রাম্প প্রশাসন বেরিয়ে গেলেও বাইডেন তাতে আবার ফিরে আসবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, বাইডেনের কাছে পরাজয় স্বীকার করতে নারাজ প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। আইনি পথে নির্বাচনী ফলাফল চ্যালেঞ্জ করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তবে এসব নিয়ে মোটেও মাথা ঘামাচ্ছেন না নব-নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে চান।
নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর জাতির উদ্দেশে দেয়া প্রথম ভাষণে জো বাইডেন বলেন, এই দেশের মানুষ মুখ খুলেছে। তারা আমাদের পরিষ্কার বিজয় দিয়েছে, একটা বিশ্বাসযোগ্য বিজয়।
ডেলাওয়ারের উইলমিংটনে অগণিত সমর্থকের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, আমি এমন এক প্রেসিডেন্ট হওয়ার শপথ করছি, যে বিভাজন নয়, ঐক্যবদ্ধ করবে।