বাইডেনের কাছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মানুষের কী প্রত্যাশা ।। আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী

আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী
আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী। ফাইল ছবি

বর্তমান পৃথিবীতে দুটি দুঃস্বপ্ন বিরাজ করছে। একটি করোনাভাইরাস, আরেকটি ট্রাম্প-ভাইরাস। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী জো বাইডেন জয়ী হওয়ায় ট্রাম্প শাসনের দুঃস্বপ্ন থেকে পৃথিবী মুক্ত হয়েছে। আশা করা যায়, আগামী ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারিতে ভ্যাকসিন বের হলে করোনার দুঃস্বপ্ন থেকেও বিশ্ববাসী অনেকটা মুক্ত হবে। ট্রাম্প বেশ ভালো ভোটে পরাজিত হওয়া সত্ত্বেও হলিউডের বিখ্যাত ছবি ‘ফ্যাটাল অ্যাট্রাকশন’-এর নায়িকার মতো মরেও মরতে চাচ্ছেন না। মার্কিন পত্রপত্রিকার খবরে বলা হচ্ছে, তিনি এই নির্বাচনের বৈধতা অস্বীকার করে মামলা করার পরিকল্পনা আঁটছেন। হয়তো তাঁর প্রেতমূর্তি বারবার হোয়াইট হাউসে আবির্ভূত হয়ে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে ভয় দেখাতে চাইবে। কিন্তু বিরাট ভোটের ব্যবধানে জয়ী জো বাইডেনের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ আছে কি?

জো বাইডেনের পেছনে শুধু আমেরিকার জনগণের ম্যান্ডেট নয়, বিশ্বের  বেশির ভাগ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি রয়েছে। নিউজিল্যান্ড থেকে ফ্রান্স—সব দেশের রাষ্ট্রনায়করা তাঁর নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এই নবনির্বাচিত ও বিশ্বস্বীকৃত প্রেসিডেন্টকে হোয়াইট হাউসে ঢুকতে না দেওয়ার অর্থাৎ শান্তিপূর্ণভাবে তাঁর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার কোনো চক্রান্ত ট্রাম্প করতে চাইলে তাঁকে আরো অসম্মানজনকভাবে হোয়াইট হাউস ছাড়তে হবে। তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে হোয়াইট হাউসের স্টাফসহ সবাইকে এতটা চটিয়েছেন যে নির্বাচনের পর পরাজিত প্রেসিডেন্টের তিন মাস হোয়াইট হাউসে থাকার যে মেয়াদ নির্দিষ্ট আছে, তার বাইরে থাকতে চাইলে হোয়াইট হাউসের বেশির ভাগ স্টাফই তাঁর হুকুম অমান্য করবে।

universel cardiac hospital

তিনি এই নির্বাচনে ভোটের কারচুপি করা হয়েছে বলে বারবার অভিযোগ করেছেন। এই সম্পর্কিত তাঁর কয়েকটি মামলা আদালতই খারিজ করে দিয়েছেন। কারণ তাঁর অভিযোগের পক্ষে একটিও প্রমাণপত্র আদালতে দাখিল করতে পারেননি। এখন পুরো নির্বাচনে কারসাজি হয়েছে বলে প্রমাণহীনভাবে মামলা করতে গেলে আমেরিকার কোনো আদালতই তা গ্রহণ করবেন কি?

জো বাইডেনের জয়ে সারা আমেরিকায় সাদা-কালো ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে মানুষের উৎসবের যে ঢল নেমেছে তার বাস্তবতা দেশে বা বিদেশে কারা অস্বীকার করবে? ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর স্বভাবসুলভ গোঁয়ার্তুমির বশে এই বাস্তবতা অস্বীকার করতে চাইলে তাঁর কপালে আরো অসম্মান জুটবে। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, বিরাট দুর্নীতি, প্রেসিডেন্টের পদ ভাঙিয়ে অসৎ ব্যবসা, নারীদের সঙ্গে অশোভন আচরণসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের যে পাহাড়প্রমাণ অভিযোগ জমে আছে, তাতে বিভিন্ন সূত্র থেকে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা হলে আমেরিকার ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো হয়তো একজন পরাজিত প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা হারানোর পর জেলে কাটাতে হবে।

এবারের নির্বাচনে জো বাইডেনের শক্তি বৃদ্ধি করেছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে তাঁর রানিং মেট কমলা হ্যারিস। তিনি একদিকে ভারতীয় আমেরিকান এবং একই সঙ্গে আফ্রিকান আমেরিকানও। তিনি অবৈধ বহিরাগতদের নাগরিকত্ব প্রদানসহ তাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষার উন্নয়নের বহু দাবি নিয়ে সংগ্রাম করেছেন এবং সাদা-কালো দুই বর্ণের মানুষের কাছেই প্রিয়। জো বাইডেনের পক্ষে এবার যে এশিয়ান ও আফ্রিকান বহিরাগত এবং তাদের পরবর্তী প্রজন্ম বিপুলভাবে ভোট দিয়েছে তার প্রধান কারণ দুটি। একটি ট্রাম্পের নিষ্ঠুর ইমিগ্রেশন আইনের কবল থেকে মুক্তি লাভের আকাঙ্ক্ষা, অন্যদিকে তাদের মধ্যে কমলা হ্যারিসের জনপ্রিয়তা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফাইল ছবি

জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিস এই দুজনের জয়লাভে আমেরিকার বিভিন্ন শহরে, বিশেষ করে ক্যালিফোর্নিয়ায় যে বিজয় মিছিল বেরিয়েছে, তাতে প্রবাসী বাঙালিদের দলে দলে যোগদান দেখা গেছে। ঢাকার একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বাঙালি কমিউনিটি নেতারা বলেছেন, ট্রাম্পের ইমিগ্রেশনসহ বিভিন্ন নীতির দরুন আমেরিকায় অন্যান্য কমিউনিটির সঙ্গে বাঙালি কমিউনিটিও নানা নিষ্পেষণে জর্জরিত হচ্ছিলেন। তাঁরা বাইডেন-হ্যারিস প্রেসিডেনশিয়াল জুটির মধ্যে তাঁদের পরিত্রাণ লাভের আশা ও আভাস দেখতে পাচ্ছিলেন। সে জন্যই এবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁরা দলে দলে জো বাইডেনের পক্ষে প্রচার অভিযানে নেমেছিলেন এবং তাঁকে ভোট দিয়েছেন। বাইডেন ও হ্যারিস দুজনের জয়েই তাঁরা উল্লসিত। নতুন প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের কাছে তাঁদের অনেক প্রত্যাশা।

এখন প্রশ্ন, আমেরিকার সাদা-কালো-নির্বিশেষে নির্যাতিত ও অবহেলিত সম্প্রদায়গুলোর প্রত্যাশা, বাইডেন প্রেসিডেন্সি পূরণ করতে পারবেন কি না? বাইডেন ভদ্র, মার্জিত ও উদার স্বভাবের মানুষ। হয়তো হোয়াইট হাউসে বসে আমেরিকায় সবার জন্য সুশাসন প্রবর্তনে তিনি আন্তরিকভাবে আগ্রহী। পররাষ্ট্র বিষয়ে তিনি এমন নীতি অনুসরণ করতে চান, যাতে গণতান্ত্রিক বিশ্বে আমেরিকার হারানো নেতৃত্ব ফিরে পাওয়া যায়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা যায়। চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ পরিহার করে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুক্তভাবে যুদ্ধ করা যায়। মধ্যপ্রাচ্যে আরব ও ফিলিস্তিনিদের কাছে ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে পরিচিত আমেরিকাকে আবার নিরপেক্ষ মিত্র হিসেবে গ্রহণযোগ্য করা যায়। ট্রাম্পের শিষ্য বরিস জনসনের বুদ্ধিহীনতার ফলে মিত্র ব্রিটেন ব্রেক্সিট নিয়ে যে সংকটে জড়িত, তা থেকে দেশটিকে উদ্ধার লাভে কিভাবে সাহায্য করা যায়। সর্বোপরি ট্রাম্প আমেরিকার জাতীয় ঐক্যে যে ভাঙন ধরিয়ে দিয়ে গেছেন, কত দ্রুত তাতে জোড়া লাগানো যায়।

কিন্তু এত ভালো কাজ করার পথে আসল বাধা কোথায় তা জো বাইডেন ভালো করে জানেন। কারণ বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আমেরিকার ‘নিকৃষ্ট প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে পরিচিত জর্জ বুশ জুনিয়রের অযোগ্যতা ও অদক্ষতা এবং মিথ্যা কারণ দর্শিয়ে ইরাক যুদ্ধ শুরু করায় আমেরিকার গণতান্ত্রিক ভাবমূর্তি যেভাবে কালিমালিপ্ত হয়েছে এবং অর্থনীতির গুরুতর ক্ষতি করা হয়েছিল, তখন ওবামার মতো শিক্ষিত ও দূরদর্শী এবং কালো প্রেসিডেন্টের প্রথমবারের মতো জয়লাভে আমেরিকার জনগণের মধ্যে তো বটেই, সারা বিশ্বের মানুষের মনে বিপুল উৎসাহ ও প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছিল যে বুশের কলঙ্ক ওবামা মোচন করবেন।

ওবামার প্রথম দফা প্রেসিডেন্ট থাকার সময়েই তাঁর সম্পর্কে আমেরিকার এবং বিশ্বের সাধারণ মানুষের আশা ও প্রত্যাশা ভাঙতে শুরু করে। আমেরিকার অশ্বেতাঙ্গ সম্প্রদায়ের এক নেতা বলেন, ‘ওবামা যদি আমেরিকার মানুষকে দেওয়া তাঁর অঙ্গীকারগুলো পূরণ করতে চান, তাহলে তাঁকে লিংকন অথবা কেনেডির মতো আততায়ীর হাতে প্রাণ দিতে হবে।’ ওবামাও এই সত্যটা বুঝতে পেরেছিলেন। তাঁর আমলেই শ্বেতাঙ্গদের হাতে অশ্বেতাঙ্গ নিধন চলতে থাকে। ইরাক যুদ্ধে তিনি বুশের নীতি কমবেশি অনুসরণে বাধ্য হন। অন্য দেশে অবৈধভাবে ঢুকে বিনা বিচারে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার জন্য সেনাদের প্রতি আদেশনামায় সই দিতে বাধ্য হন। ওবামা বুঝতে পারেন, আমেরিকার যুদ্ধবাদী হোয়াইট এস্টাবলিশমেন্ট এবং চরম প্রতিক্রিয়াশীল যুদ্ধাস্ত্র নির্মাণ ব্যবসায়ী, সর্বোপরি ওয়াল স্ট্রিটের করপোরেট বিজনেসের ইচ্ছার বাইরে তাঁর যাওয়ার উপায় নেই। তিনি মিসেস ওবামার উপদেশে জনগণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধি, কৃষ্ণাঙ্গ ও বহিরাগতদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং অবসর সময়ে শেকসপিয়ার পাঠ করেই তাঁর প্রেসিডেন্ট থাকার দ্বিতীয় মেয়াদ কাটিয়ে দিয়েছেন।

বর্তমান নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টও জানেন। তিনি আমেরিকার সাধারণ মানুষ ও বিশ্ববাসীর মনে যে বিরাট প্রত্যাশা তৈরি করেছেন, তা পূরণের সাধ থাকলেও তাঁর সাধ্য নেই। তবে এটা সত্য, আমেরিকা তাঁর মধ্যে এক ‘জেন্টলম্যান প্রেসিডেন্টকে’ পাবে। ট্রাম্প যে উত্তপ্ত কড়াইয়ের মধ্যে সারা বিশ্বকে রেখে গেছেন, সেই কড়াই থেকে তাদের নামাতে না পারলেও কড়াইয়ের উত্তপ্ত গরম তেল অনেকটা ঠাণ্ডা করেন। ভারত ও চীনের সীমানা বিরোধকে কেন্দ্র করে এশিয়ায় যে নতুন স্নায়ুযুদ্ধের বিষ ছড়ানো হয়েছে, তা থেকে তিনি এশিয়ার মানুষকে মুক্তি দিতে পারবেন মনে হয় না। তাঁকে হয়তো এ ক্ষেত্রে ট্রাম্পের নীতি অনুসরণ করতে হবে। তবে অনেকেই এ কথা ভাবছেন, ডেমোক্র্যাট দলের বাংলাদেশের হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে কোনো ক্ষোভ না থাকা সত্ত্বেও ওবামার আমলে তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন তাঁর এক বাংলাদেশি ব্যাংকার বন্ধুর স্বার্থে এবং বাংলাদেশের একটি সুধীসমাজের কোলাবরেশনে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলাতে চেয়েছিলেন। তিনি সফল হননি। শেখ হাসিনার কূটনৈতিক দক্ষতা এবং প্রেসিডেন্ট ওবামার ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব অর্জনে তাঁর সক্ষমতা হিলারি ও তাঁর বাংলাদেশি বন্ধুদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেয়।

বাংলাদেশ এখন আর সত্তরের দশকের গরিব, অনুন্নত দেশ নয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশটি এখন মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে নেতৃস্থানীয় গুরুত্ব লাভ করেছে। ট্রাম্প অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও বাংলাদেশের এই গুরুত্ব অনুধাবন ও স্বীকার করে বাংলাদেশের সঙ্গে নতুন করে উন্নত সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে গেছেন। আমার ধারণা, এশিয়ায় চীনকে কনটেইন করে রাখার মার্কিন নীতি হয়তো বাইডেনও অব্যাহত রাখবেন। তবে একজন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাংলাদেশের সুধীসমাজের ফাঁদে আর পা দিতে চাইবেন না। আমার ধারণা, জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিস নিজ নিজ পদে সুস্থির হয়ে বসলেই শেখ হাসিনার ডাক পড়বে হোয়াইট হাউসে। ওবামার সঙ্গে যেমন হাসিনার পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, জো বাইডেনের সঙ্গে ততটা না হোক দুজনের মধ্যে উষ্ণ রাজনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠবে। এই আশাবাদ ব্যক্ত করতে আমার মনে কোনো ইতস্তত ভাব নেই।

জো বাইডেন হোয়াইট হাউসে বসে রাতারাতি বিশ্বপরিস্থিতিতে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আনবেন বা আনতে পারবেন—এমন আশা আমি পোষণ করি না। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প গোটা বিশ্বকে যে প্রচণ্ড হিট ওয়েভের মধ্যে রেখে গেছেন, সেখানে তিনি ‘কুলারের’ কাজ করতে পারেন। নয়া প্রেসিডেন্ট বিশ্বের আবহাওয়া পরিবর্তন ও বায়ুদূষণের বিপদ থেকে বিশ্বকে রক্ষার প্রচেষ্টায় যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি সম্পর্কে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিশেষভাবে আগ্রহী এবং এ ব্যাপারে বিশ্বের ছোট ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর পক্ষ নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। এই আবহাওয়ার পরিবর্তন ও পরিবেশদূষণ থেকে বিশ্বকে রক্ষার কাজেও হাসিনা-বাইডেন পরস্পরের কাছে আসতে পারেন এবং তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠতে পারে। তাহলে তা হবে সারা বিশ্বের জন্য এক বিরাট মঙ্গল।

জো বাইডেন এখনো প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব এখনো গ্রহণ করেননি। গ্রহণ করবেন আগামী ২০ জানুয়ারি। এই মধ্যবর্তী সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাথায় যেন কোনো দুষ্টবুদ্ধি কাজ না করে এবং জো বাইডেনের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরিত হোক—এটা শান্তিকামী বিশ্ববাসীর সঙ্গে আমারও কামনা। জো বাইডেনের নেতৃত্বে নতুন আমেরিকা গড়ে উঠবে এবং গণতন্ত্রের পথে অবিচল থাকবে—এটা আমাদের প্রত্যাশা। তিনি রাতারাতি পৃথিবীর রং বদলে ফেলবেন এমন প্রত্যাশা আমার নেই।

লন্ডন, সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০২০

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে