ঘুষের বিনিময়ে সরকারি কাজ নির্দিষ্ট একটি সংস্থাকে দেয়ার অভিযোগে পেরুর প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভিজকারা দেশটির পার্লামেন্টে অভিশংসিত হয়েছেন। মঙ্গলবার পেরুর এই প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করার পক্ষে পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য ভোট দেন।
ভিজকারা বলেছেন, তিনি সংসদ সদস্যদের ভোটের রায় মেনে নেবেন এবং এর বিরুদ্ধে কোনও ধরনের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন না। শিগগিরই প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ছেড়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ায় কংগ্রেসের স্পিকার ম্যানুয়েল মেরিনো আগামী বছর তার স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ভিজকারার মেয়াদ শেষ হবে ওই বছরের জুলাইয়ে।
প্রেসিডেন্টের দুর্নীতি ঘিরে গত কয়েক মাস ধরে পেরুতে রাজনৈতিক সঙ্কট চলছে। গত দুই মাসে প্রেসিডেন্ট ভিজকারাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পার্লামেন্টে অন্তত দু’বার উদ্যোগ নেয়া হয়।
পেরুর দক্ষিণের মোকুগুয়া অঞ্চলের গভর্নর থাকাকালীন ৫৭ বছর বয়সী ভিজকারা প্রায় ৬ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার ঘুষের বিনিময়ে একটি সংস্থাকে সরকারি কাজ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠে। তবে বারবারই তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন।
পার্লামেন্টে ভোটাভুটির আগে অভিশংসনের যেকোনও পদক্ষেপ দেশকে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে ফেলে দিতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ভিজকারা। করোনাভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশের অর্থনীতি ইতোমধ্যে তীব্র মন্দার কবলে পড়েছে।
কিন্তু সোমবার দেশটির পার্লামেন্টের ১০৫ সদস্য প্রেসিডেন্ট ভিজকারাকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন। এছাড়া বিপক্ষে ভোট দেন পার্লামেন্টের মাত্র ১৯ জন সদস্য। ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকেন চারজন।
সূত্র : বিবিসি