মানি লন্ডারিং : পাপুল-সেলিনা দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রী
ফাইল ছবি

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কুয়েতে গ্রেপ্তার সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল এবং তার স্ত্রী সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করেছে।

অনুসন্ধানে পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের ব্যাংক হিসাবে ১৪৮ কোটি টাকার ‘অবৈধ লেনদেন ও পাচারের তথ্য’ পেয়ে মামলাটি করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি। দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে বুধবার মামলাটি করেন।

universel cardiac hospital

পাপুল ছাড়াও দুদকের মামলার অন্য তিন আসামি হলেন- পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি কাজী সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিন। তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ অনুসন্ধান করেছেন দুদকের ঢাকার প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। পুরো অনুসন্ধান কার্যক্রম তদারক করেছেন দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।

পাপুলের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তের অংশ হিসেবে গত ২২ জুলাই সেলিনা ও জেসমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। ওই দিন দুদক থেকে বেরিয়ে সেলিনা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমাদের কোনো গোপন সম্পদ নেই, অবৈধ সম্পদও নেই। যা আছে তার বিবরণ দুদককে দিয়েছি। আমরা আইনের পক্ষে। এই তদন্তে দুদককে সব ধরনের সহযোগিতা করব।’

জানা যায়, এনআরবি কমার্শিয়ালসহ তিনটি ব্যাংকে পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের নামের পাঁচটি হিসাবে জমা হয় মোট ১৪৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও অনেকের ব্যাংক হিসাব থেকে পাঁচটি হিসাবে ওই পরিমাণ টাকা জমা করা হয়। পরে তা থেকে এরই মধ্যে ১৪৮ কোটি ২১ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।

দুদক সূত্র জানায়, পাপুল, তার স্ত্রী ও তাদের মেয়ের ব্যাংক হিসাব থেকেও জেসমিন প্রধানের হিসাবগুলোতে টাকা জমা হয়েছে। পাপুলের অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ নিজের, স্ত্রী ও মেয়ের হিসাবে জমা রাখা হয়েছিল। পরে ওই অর্থ শ্যালিকার হিসাবগুলোতে স্থানান্তর করা হয়। এরপর শ্যালিকার হিসাব থেকে তা উত্তোলন করে বিদেশে হুন্ডি বা অন্য কোনো মাধ্যমে পাচার করা হয়। বিদেশে অর্থ পাচারে পাপুল কয়েকটি ধাপে স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালিকার ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করেছেন।

গত ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরেফ আবাসিক এলাকা থেকে দেশটির অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সাংসদ পাপুলকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে দেশটিতে মানবপাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়। গ্রেপ্তারের পর পাপুলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন কুয়েতের আদালত।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে