কোভিড-১৯ মহামারিতে বিশ্বব্যাপী থমকে যাওয়া আন্তর্জাতিক ফুটবল আবার মাঠে ফিরতে শুরু করেছে। সেই শুরুর তালিকায় বাংলাদেশের নাম যোগ হচ্ছে আজ শুক্রবার। দীর্ঘ প্রায় দশ মাস পর নেপালের বিপক্ষে লড়াই দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরছে বাংলাদেশ।
বিকেল ৫টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হবে দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশের ফুটবলযুদ্ধ। বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং নতুন খেলার চ্যানেল টি-স্পোর্টস ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে। ধারাবিবরণী দেবে বাংলাদেশ বেতার।
বাংলাদেশ সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিল এ বছর ২৩ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। সেটি ছিল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপের সেমিফাইনাল। বাংলাদেশ হেরেছিল ৩-০ গোলে। তারপর আর ফুটবল মাঠে নামা হয়নি লাল-সবুজ জার্সিধারীদের।
গত ৩ অক্টোবর নির্বাচনের পর বাফুফের নতুন কমিটি দায়িত্ব নিয়েই জাতীয় দলকে মাঠে ফেরানোর উদ্যোগ নেয়। সরকারের সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাফুফে নেপালের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ আয়োজন করতে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে সীমিত সংখ্যক দর্শক খেলা দেখার সুযোগ পাবে।
নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটি ঘিরে ফুটবলমোদীদের মধ্যে ফিরেছে উচ্ছ্বাস। করোনার কারণে গ্যালারিতে এসে ম্যাচ দেখতে মানুষ সেভাবে হুমড়ি খেয়ে হয়তো পড়বে না। তবে টিভি ও বেতারে তারা দুই দেশের ফুটবল লড়াই উপভোগ করবেন।
এক সময় নেপাল পাত্তাই পেত না বাংলাদেশের কাছে। ১৯৮৩ সালে মালয়েশিয়ায় মারদেকা কাপে প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল দুই দেশ। সেবার বাংলাদেশ জিতেছিল ১-০ গোলে। পরের বছর কাঠমান্ডুতে দ্বিতীয়বার মুখোমুখি হয়েছিল এসএ (তৎকালীন সাফ গেমস) গেমসে। ঘরের মাঠে নেপাল বিধ্বস্ত হয়েছিল ৫-০ গোলে। ওই আসরেই বাংলাদেশের প্রথম হার ২-৪ গোলে।
এরপর থেকেই দুই দেশের ফুটবলের শক্তির পার্থক্য কমে আসতে থাকে। কখনও জয়, কখনও ড্র, কখনও হার- দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠে বাংলাদেশ-নেপাল।
এখনও পরিসংখ্যানে নেপালের চেয়ে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে থাকলেও নিকট অতীতের ম্যাচগুলোর ফল হিমালয়ের দেশটির পক্ষেই ভারী। সর্বশেষ ২ ম্যাচেই বাংলাদেশ হেরেছে নেপালের কাছে। এর মধ্যে একটি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে, আরেকটি এসএ গেমসে।
নেপালের কাছে পরপর দুই ম্যাচে হার- এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। দুই ম্যাচের সিরিজ জিতে আগের হার দুটির প্রতিশোধ নিতে চান ডেনমার্ক প্রবাসী এ ফুটবলার। শুক্র ও মঙ্গলবারের ম্যাচ দুটি জিতলে জামাল ভূঁইয়াদের দায়মুক্তি হবে কিছুটা।