বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, আমরা মারামারি বা সন্ত্রাসীতে বিশ্বাসী নই। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু, টেন্ডারবাজ ও মাদকাসক্ত কারো সাথে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী শেখ হাসিনার সৈনিকেরা নেই।
আজ শুক্রবার বিকেলে শহরের ভাষা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মোকতাদির চৌধুরী বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার অহেতুক ঢাকায় জ্বালাও-পুড়াও করা হয়েছে। এমনকী যেখানে জ্বালাও-পুড়াও করা হয়েছে সেখানে কোনো নির্বাচনও হয়নি; নির্বাচন হয়েছে ঢাকার উত্তরে অথচ জ্বালাও-পুড়াও আন্দোলন হয়েছে ঢাকার দক্ষিণে। এই ঘটনায় আমরা কঠোর ও তীব্র নিন্দা জানাই। এধরনের নাশকতা বাংলাদেশের মানুষ কখনোই সমর্থন করে নাই। ২০১৩-১৪ সালেও জ্বালাও আন্দোলন করেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষ তখনও গ্রহণ করেনি। বাংলাদেশের মানুষ শান্তি প্রিয়।
এসময় তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকার মতো জ্বালাও-পুড়াও আন্দোলন হতে দিব না। আমরা এসব গণবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দেয়াল হয়ে দাঁড়াবো। আমরা সুসংগঠিত আছি, যারা রাষ্ট্রকে নড়বড়ে করে দিতে চায়, রাষ্ট্রকে যারা দূর্বল করে দিতে চায় তাদের আমরা সুযোগ দিব না।
যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ শেখ ফজলুল হক মনির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে মোকতাদির চৌধুরী বলেন, মনি ভাই আপাদমস্তক একজন সমাজতন্ত্রী ছিলেন। যার প্রমাণ আপনারা যুবলীগের গঠনতন্ত্র পড়লেই বুঝতে পারবেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত দূরদর্শী যুব নেতা। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তিনি সোভিয়েত ইয়াং কনসুম অলের আদলে তিনি যুবলীগকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে অস্থির যুবসমাজকে একটি সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে এনে জন্য বঙ্গবন্ধুর যে প্রচেষ্টা তা কার্যকর করতেই মনি ভাই সেদিন যুবলীগ গঠন করেন।
এসময় যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে বিভিন্ন সময়ে যুবলীগের নেতৃত্বদানকারী নেতাদের বিশেষ সম্মাননা প্রদান করায় যুবলীগের বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দকে তিনি ধন্যবাদ জনান।
জেলা আওয়ামী যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহনুর ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, সহ-সভাপতি তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন, মুজিবুর রহমান বাবুল ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুসলিম মিয়া প্রমুখ।
সভা সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস।