চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে উথলি সোনালি ব্যাংক শাখায় ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রায় ৯ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। আজ রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
উথলী সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আবু বক্কর সিদ্দিকী জানান, বেলা সোয়া ১টার দিকে হেলমেট পরা তিন ব্যক্তি ব্যাংকে প্রবেশ করে। তারা পিস্তল উচিয়ে ব্যংকের দরজা বন্ধ করে দিয়ে সকলকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। তারা ব্যাংকের সবার মোবাইল কেড়ে নেয় এবং একটি কক্ষে সবাইকে আটকে রাখে। ব্যাংকের কাউন্টারে থাকা প্রায় ৮ লাখ ৯৪ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এলাকাবাসী জানায়, ব্যাংকের ভেতরে এক গ্রাহক চিৎকার শুরু করলে বাজারের লোকজন ব্যাংকের সামনে জড়ো হয়। ডাকাত দল পিস্তলের ভয় দেখায়। অস্ত্রধারী ৩ জন দ্রুত মোটরসাইকেল করে পালিয়ে যায়। ডাকাত দলের সদস্যরা মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে টাকা লুট করে পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সুজন নামের একজন জানান, মোটরসাইকেলে পালানোর সময় ইট-পাটকেল মারা শুরু করলে ডাকাত দলের এক সদস্যের মাথায় লাগে। এসময় ডাকাত দলের এক সদস্য পিস্তল উচিয়ে গুলি করতে উদ্যত হলে আমরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ি।
সোনালী ব্যাংকের গার্ড আনসার সদস্য জাফর জানান, ব্যাংকের প্রধান ফটকে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় প্রথমে হেলমেট পরা এক ব্যাক্তি ব্যাংকে প্রবেশের চেষ্টা করে। আমি তাকে হেলমেট খুলতে বললে সিড়ির নিচে দাঁড়িয়ে থাকা আরো ২ জন হেলমেট পরিহিত ব্যক্তি দৌড়ে উপরে উঠে ব্যাংকে ঢুকে আমাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। দ্রুত তারা প্রধান দরজা আটকে কয়েক মিনিটের মধ্যে সকলকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা লুট করে পালিয়ে যায়।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে জেলার সব প্রবেশদারে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাত দলকে গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে নেমেছে।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশে রাষ্ট্রয়াত্ব ব্যাংকে সিসি ক্যামেরা না থাকা দুর্ভাগ্যজনক। জেলা পুলিশের সব সংস্থার সদস্যরা ডাকাতদের আটক করতে জোরদার অভিযান চালাচ্ছে।