বাংলাদেশ এখন প্রকৃতির সৃষ্ট ভয়াবহ করোনা দুর্যোগের কবলে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মনুষ্যসৃষ্ট আরো দুটি দুর্যোগ। এই দুটি দুর্যোগ হলো রাজনৈতিক সন্ত্রাস ও চিহ্নিত হিংস্র গোষ্ঠীর উল্লম্ফন-চেষ্টা। বিশ্বের সব দেশেই করোনাভাইরাস এখন জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে দেখা দিয়েছে। মানবতার এই মহাবিপদের দিনে সব দেশেই, বিশেষ করে ইউরোপীয় দেশগুলোতে বিরোধী দলগুলো সরকারের বিরোধিতার বদলে জাতীয় দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে সরকারের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এমন যে গণতান্ত্রিক ব্রিটেন। এখানেও বরিস জনসনের সরকারের কোনো কোনো আজগুবি নীতির বিরুদ্ধে তাঁর নিজের দলেও প্রচণ্ড বিরোধিতা থাকা সত্ত্বেও তারা সরকারকে বিব্রত করছে না। এমনকি প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টিও সরকারের বড় ধরনের কোনো বিরোধিতায় নামছে না।
সম্ভবত এই অবস্থায় একমাত্র ব্যতিক্রম বাংলাদেশ। বিরোধী দল বিএনপি-জামায়াত সরকারের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক নিয়মতান্ত্রিক বিরোধিতায় নামলেও কথা ছিল না। কিন্তু তারা সন্ত্রাস দ্বারা দেশের রাজনীতি অস্থিতিশীল করার জন্য এই দুর্যোগের সময়টাকে বেছে নিয়েছে। ঢাকা শহরে একই দিনে ১০টা বাস পুড়িয়ে তারা আবার তাদের সন্ত্রাসী রাজনীতির জানান দিয়েছে।
সম্ভবত এই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের সঙ্গে যোগ রয়েছে জামায়াতসহ দেশের তথাকথিত উগ্রপন্থী ছোট ইসলামী দলগুলোরও। তাদের আবার মাথা তোলার মতো শক্তি নেই, কোনো ইস্যুও নেই। বিএনপির সন্ত্রাসী রাজনীতির পরিপূরক হিসেবে তারা দেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনকে ধর্মীয় ইস্যু বানিয়ে আবার মাথা তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। গত শুক্রবার ১৩ নভেম্বর (পাঠক, লক্ষ রাখবেন এই দিনটি ছিল বিএনপির দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের দিন) ঢাকার বিএমএ অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নামে একটি ক্ষুদ্র ধর্মীয় দলের যুব সংগঠনের সমাবেশ থেকে বলা হয়, ‘ঢাকার ধোলাইখালে বঙ্গবন্ধুর মূর্তি (ভাস্কর্য) স্থাপন হবে সম্পূর্ণ ধর্মবিরোধী। ঢাকা মসজিদের শহর। এই শহরকে মূর্তির শহরে পরিণত করার অপচেষ্টা চলছে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের নামে এটা মূর্তি স্থাপন। এটা বন্ধ করতে হবে। যদি বন্ধ করা না হয়, তাহলে আবারও তৌহিদি জনতা নিয়ে শাপলা চত্বরে জমায়েত হব।’ এটা রীতিমতো হুমকি। ঢাকার শাপলা চত্বরে সরকারবিরোধী সমাবেশ ঘটিয়েছিল হেফাজত। তাতে সমর্থন দিয়েছিলেন বিএনপির খালেদা জিয়া ও প্রয়াত জেনারেল এরশাদ। খালেদা জিয়া এই শাপলা চত্বরের সমাবেশের ওপর নির্ভর করে শেখ হাসিনাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছিলেন।
আবার এই যে শাপলা চত্বর ঘটানোর হুমকি, এই শাপলা চত্বরে যে ‘বিশাল তৌহিদি জনতার সমাবেশ’ ঘটানো হয়েছিল, তারা ছিল দেশের বেশির ভাগ মাদরাসা থেকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে আনা ছাত্র। তাদের মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রও ছিল। পুলিশ এক রাতে শুধু রাস্তার বাতি নিভিয়ে নলের সাহায্যে প্রচণ্ড পানিবৃষ্টি করার ফলে এই লাখ লাখ তৌহিদি জনতার সমাবেশ ভেঙে যায়। অনেক মাদরাসাছাত্রকে পানিতে ভিজে এবং শহরে পথ হারিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁদতে দেখা যায়। পুলিশ তাদের যথাস্থানে পৌঁছে দেয়। এক রাতেই তথাকথিত ‘তৌহিদি জনতার’ সব বিপ্লব শেষ।
শাপলা চত্বরের এই বিপ্লব ছিল হেফাজতের। বিপ্লবে নেতৃত্বে দেওয়ার জন্য হেফাজতের তৎকালীন আমির সদলবলে ঢাকায়ও এসেছিলেন। পরে আন্দোলন প্রত্যাহার করে সরকারি হেলিকপ্টারে হাটহাজারীতে ফিরে যান। এই আমির শাহ আহমদ শফী হেফাজত সংগঠনটিকে জামায়াতের খপ্পর থেকে মুক্ত রাখেন এবং হাসিনা সরকারের বিরোধিতার পথ ত্যাগ করেন। তখনো জুনাইদ বাবুনগরীর নেতৃত্বে হেফাজতের ভেতরে জামায়াতপন্থী একটি গ্রুপ ছিল। কিন্তু শাহ আহমদ শফীর প্রভাবের মোকাবেলায় তারা সুবিধা করতে পারেনি। এখন তাঁর মৃত্যুর পর বাবুনগরী হেফাজতের আমিরের পদ দখল করেছেন। প্রয়াত আমিরের পরিবার ও অনুসারীরা তার বিরোধিতা করছে।
ঢাকায় গত শুক্রবার খেলাফত যুব মজলিসের সভায় শাপলা চত্বরের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর হুমকি থেকে মনে হয়, এই হুমকি শুধু যুব মজলিসের নয়, এর পেছনে জামায়াতেরও গোপন অবস্থান আছে। ধোঁয়া দেখে যেমন আগুনের সন্ধান পাওয়া যায়, তেমনি জামায়াতের অবস্থান দেখেও তাদের স্বাভাবিক মিত্র (natural ally) বিএনপির সন্ধান পাওয়া দুষ্কর নয়। একই সঙ্গে বিএনপির আন্দোলনের নামে পুরনো আগুন লাগানোর সন্ত্রাস শুরু এবং হেফাজতের বিভক্তির সঙ্গে খেলাফত যুব মজলিসের নামের আড়ালে শাপলা চত্বরের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর হুমকি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। মনে হয়, করোনা সংকটের এই মহাদুর্যোগের সুযোগ নিয়ে দেশে রাজনৈতিক সন্ত্রাস এবং ধর্মব্যবসায়ীদের সন্ত্রাস আবার একযোগে সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নামার রিহার্সাল চালাচ্ছে। তাদের ফ্রন্ট একাধিক। কিন্তু লক্ষ্য ও কার্যক্রম অভিন্ন।
সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছিলেন, ‘মৌলবাদ ও মোল্লাবাদ এক নয়। মৌলবাদীরা তাদের ধর্ম বা আদর্শ সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখে। কিন্তু মোল্লা বা মোল্লাবাদীরা তা রাখে না। তারা তাদের অজ্ঞতা ও মূর্খতাকে ধর্ম বলে প্রচার করে এবং ধর্মের অবমাননা ঘটায়। দুঃখের বিষয়, এই মোল্লাবাদীরা এখন ইসলামের নামে তাদের ব্যবসা ছড়াচ্ছে, যুক্তিহীন সন্ত্রাসকে ইসলামের বিধান বলে চালাচ্ছে এবং ইসলামকে দুর্নামগ্রস্ত করছে।’ সৈয়দ মুজতবা আলীর এই কথার সত্যতা বর্তমান বাংলাদেশের দিকে তাকালেও বোঝা যায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি। জাতির পিতা। তাঁর স্মৃতি অমর করে রাখার জন্য ঢাকার ধোলাইখাল এলাকায় একটি ভাস্কর্য স্থাপন নাকি ধর্মের বিধান ভঙ্গ করা। মোল্লাদের ভাষায় বেদাত। এ ব্যাপারে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এই মোল্লাবাদীরা তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূর্ণ করতে চায়। তাদের আসল উদ্দেশ্য ‘মসজিদ নগরী’ ঢাকার পবিত্রতা রক্ষা করা নয়, ধর্মের নাম ভাঙিয়ে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করা। তাই এত দিন পর আবার শাপলা চত্বরের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর এই রাজনৈতিক হুমকি।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মসজিদ নগরী হলো তুরস্কের ইস্তাম্বুল। ৫০ বছর আগেই ইস্তাম্বুলে মসজিদের সংখ্যা ছিল দুই হাজারের ওপরে। বর্তমানে আরো বেড়েছে। এই ইস্তাম্বুলে তুরস্কের সুলতানদের ভাস্কর্য বা স্ট্যাচুসহ কামাল আতাতুর্কের বিশাল ভাস্কর্য আছে। তুরস্কের মুসলমানরা আমাদের চেয়ে কম ধার্মিক নয়। তারা মসজিদের পাশে ভাস্কর্য দেখে ধর্ম গেল, ধর্ম গেল বলে চিৎকার করেনি। তাদের আলেমরাও এই ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কোনো ফতোয়া দেননি। তাঁরা জানেন, ভাস্কর্য এবং মূর্তি এক কথা নয়। এই ব্যাপারে বাংলাদেশের মুফতি মাসুম বিল্লাহ প্রকৃত আলেমের মতো কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ভাস্কর্য হচ্ছে একটি শিল্প, যা নগরের সৌন্দর্য বর্ধন করে। আর মূর্তি বানানো হয় ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে উপাসনা করার জন্য। ভাস্কর্য আর মূর্তি এক নয়। যারা ভাস্কর্যকে মূর্তি বলে, তাদের জ্ঞানের স্বল্পতা ও দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে সমস্যা রয়েছে।’
একই কথা বলেছেন তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। তিনি বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি হিসেবে ভাস্কর্য থাকতেই পারে। পৃথিবীর বহু ইসলামী রাষ্ট্রে এমন আছে। এখানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপিত হলে ঈমান-আমল যাওয়ার কিছু নেই।’ এই অভিমতের সঙ্গে সহমত পোষণ ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে যাঁদের কিছুমাত্র জ্ঞান আছে তাঁরাই করবেন। আফগানিস্তানের কাবুল শহর বুদ্ধমূর্তিতে এবং মিসর ফেরাউনের মমিতে ভর্তি। তাতে ইসলাম ধর্মের ক্ষতি হয়েছে বলে কেউ বলেন না। সিরিয়া ও ইরাক তো প্রাচীন কালের রাজা-বাদশাহদের ভাস্কর্যে ভর্তি। প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের শাসনকালে বাগদাদে তাঁর বিশাল ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তাতে ইসলামের কোনো হানি হয়েছে বলে শোনা যায়নি।
বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য, এখানে একদল অজ্ঞ ও মূর্খ মোল্লা পবিত্র ইসলামকে তাদের ধর্ম নিয়ে ব্যবসায়ের মূলধন করতে পেরেছে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার শত্রুরা ধর্মের বিকৃত ব্যাখ্যাকে তাদের সন্ত্রাসের রাজনীতির হাতিয়ার করতে চেষ্টা চালাতে পারছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে জামায়াতিরা একুশের ভাষা শহীদ মিনারকে ইসলামবিরোধী আখ্যা দিয়ে ভেঙে ফেলার দাবি জানিয়েছিল। একাত্তরে বাংলাদেশে গণহত্যা চালানোর সময় পাকিস্তানি হানাদাররা প্রথমেই শহীদ মিনার গোলা মেরে ভেঙে ফেলেছিল। পরদিন গোলাম আযম কয়েকজন সঙ্গী-সাথি নিয়ে ভাঙা শহীদ মিনারে নামাজ পড়েন এবং ঘোষণা করেন, আজ থেকে এই স্থান মসজিদ। বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাঁর এই কাজে বাধা দেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর সরকার ভাষা শহীদ মিনার মেরামত করে। শহীদ মিনার তার পূর্ব গৌরব ফিরে পায়। এই সময় একই সঙ্গে সাভারে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতি রক্ষার জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ তৈরি হয়। ক্ষমতায় থাকাকালে এই স্মৃতিসৌধে গিয়ে বিএনপি ও জামায়াত নেতারা হুমড়ি খেয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। স্মৃতিসৌধ নিয়ে জামায়াত ও জামায়াতপন্থীদের মুখে এখন আর রা নেই।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও এই মোল্লাবাদীরা টাকার নোটে বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাপা হওয়ায় প্রচার চালিয়েছিল, এটা বেদাত। পকেটে ওই টাকা নিয়ে নামাজ পড়লে নামাজ কবুল হবে না। কিছুদিন পর সৌদি আরবের টাকার নোট আমার হাতে এলে দেখতে পাই, প্রতিটি নোটেই সৌদি বাদশাহর ছবি রয়েছে। এক জামায়াতী নেতাকে নোটটা দেখানোর পর তিনি নিশ্চুপ। আমি জানি না, সুপ্রিম কোর্টের সামনে স্থাপিত ভাস্কর্য সরানোর জন্য হেফাজতি ধমকে সরকার কেন ভয় পেয়েছিল? এটাও ছিল ধর্মের আড়ালে রাজনৈতিক অভিসন্ধিমূলক হুমকি। বাংলাদেশ বিমানের ঢাকা অফিসের সামনে বলাকা ভাস্কর্য প্রথম ভাঙা হয়। ঢাকা বিমানবন্দরের সামনে থেকে নান্দনিক বাউল ভাস্কর্য অপসারণ করা হয়। তারপর সুপ্রিম কোর্ট ভবনের সামনে থেকে গ্রিক স্টাইলের ভাস্কর্য স্থানান্তর—একের পর এক সরকারের এই পশ্চাদপসরণে ধর্মব্যবসায়ী, মোল্লাবাদী সন্ত্রাস ও স্বাধীনতার শত্রু রাজনৈতিকচক্র আজ জোটবদ্ধ হয়ে আবার সন্ত্রাসী রাজনীতিতে নামার সাহস পেয়েছে এবং তাদেরই একটি পালিত গ্রুপ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ বন্ধ করার জন্য স্পর্ধার সঙ্গে হুমকি দিতে পারছে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুবই ধার্মিক। তাঁর রাজনীতি যতই ধর্মনিরপেক্ষ হোক, ব্যক্তিগত জীবনে তিনি পরম ধার্মিক। কোনো ধর্মবিরুদ্ধ কাজেই তিনি সায় দেবেন না। কিন্তু জাতির পিতার ভাস্কর্য স্থাপন এবং অন্য যেকোনো ভাস্কর্যের প্রতিষ্ঠা ঢাকা শহরকে আরো নান্দনিক করে তুলবে। এই ভাস্কর্য স্থাপন ধর্মবিরোধী নয়। যারা এই ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠাকে ইস্যু করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চাচ্ছে, সময় থাকতে সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হোক। যারা জাতির পিতার ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে অবমাননাকর কথা বলছে, তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের জন্য আদালতে সোপর্দ করা হোক। কান টানলে যেমন মাথা আসে, তেমনি শুক্রবারের ভাস্কর্যবিরোধী বক্তাদের ধরলেই তাদের পেছনে লুকানো চক্রান্তকারী গোষ্ঠীগুলোর সন্ধান ও পরিচয় পাওয়া যাবে। এই ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমাদের বুদ্ধিজীবীসমাজ ও প্রকৃত আলেমসমাজেরও সোচ্চার হওয়া উচিত।
লন্ডন, সোমবার, ১৬ নভেম্বর ২০২০